শনিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৬

ব্লেম গেমের সেই ট্র্যাডিশন আজও সমানে চলছে



ব্লেম গেম আমাদের রাজনীতির দেহে এক দুরারোগ্য ক্যান্সারের মতো বাসা বেঁধেছে। দেশে গুরুতর একটি কিছু ঘটলেই শাসক দল বিরোধী দলের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করে এবং সেই দলকে সেই অপকর্মের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী করে। বিরোধী দলকে সরকারী দল দায়ী করেই খালাস। তারপর তারা আর কিছু করে না। কোন একটি বড় ঘটনা ঘটলে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তোলা হয়। সকলেই জানেন যে, রাষ্ট্র দ্রোহের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, এই সরকার এই গুরুতর অভিযোগ অবলীলাক্রমে অনর্গল বিরোধী দলের বিরুদ্ধে করে যাচ্ছে। এর সর্ব শেষ বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে গত সোমবার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জনসভায়। এই সভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। এ ঘটনার বিচার করা হচ্ছে।  ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন করা হবে।
সরকারের তরফ থেকে আরো অভিযোগ করা হয় যে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বলে থাকেন, বিডিআর বিদ্রোহ নাকি আওয়ামী লীগ সরকারই ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করেছে। যারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করে তারা কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে যাবে। বেগম জিয়ার কাছে সরকারের প্রশ্ন, বিডিআর বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল সকাল নয়টায়। তিনি কেন ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে সকাল ৭ টায় বের হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে গেলেন? এর জবাব জনগণকে দিতে হবে। তার ছেলে লন্ডন থেকে কেন ৪৫ বার ফোন করে তাকে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছেন। এতেই বোঝা যায়, বিডিআর বিদ্রোহের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিএনপি নেত্রী প্রায়ই বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের সভা মঞ্চ থেকে বলা হয়, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলো। মাত্র দুই মাসের মধ্যে শুধু পিলখানায় নয়, সমগ্র বাংলাদেশে সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। আওয়ামী সরকার মাত্র দুইদিনে সেটি কন্ট্রোল করে।
ঐ সভা মঞ্চ থেকে আরো বলা হয় যে, ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির ওই বিদ্রোহে নিহত ৫৭ জন সেনা অফিসারের মধ্যে ৩৩ জনই ছিল আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ২০০৯ সালে তাদেরকে কেন সেখানে পোস্টিং দেওয়া হয়েছিল, সেটাও একটা রহস্য বলে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। বলা হয় যে, আওয়ামী লীগ তখন মাত্র দুই মাস হলো ক্ষমতায় এসেছে। হাইকোর্টে এই হত্যা মামলার বিচার চলছে। এই ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন একদিন হবেই বলে বক্তারা দৃঢ় প্রত্যয় ঘোষণা করেন।
॥দুই॥
যে অভিযোগটা এসেছে সেটা কিন্তু কোন টম, ডিক বা হ্যারীর মুখ থেকে আসেনি। লন্ডন থেকে তারেক রহমান নাকি ঐ রাতে ৪৫ বার ঢাকায় টেলিফোন করেছেন। সেই টেলিফোন করে তিনি নাকি বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল ইসলাম রোডের বাড়ি থেকে সরে যেতে বলেছেন। সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মঞ্চ থেকে এই অভিযোগটি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে করা হয়েছিল। সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের ঐ জনসভায় বলা হয় যে, বিডিআর ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড শুরু হয় সকাল ৯ টায়। আর বেগম জিয়া ঐ বাড়ি ছাড়েন সকাল ৭.৩০ টায়।
এই গুরুতর অভিযোগের পর সঠিক তথ্য জানার জন্য আমাদেরকে একটু পেছনে তাকাতে হবে। বিডিআর ম্যাসাকার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায়। ২৬শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ড চলে। ২৭শে ফেব্রুয়ারিতেও উত্তেজনা ছিল। সরকারের অভিযোগ মতে বেগম খালেদা জিয়া ২৫শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৭ টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে ঐ বাড়ি থেকে বের হন এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান।
আমাদের এই রাজনৈতিক ভাষ্যের উদ্দেশ্য, কোন দল বা কোন নেতাকে ডিফেন্ড করা নয়। অথবা কোন দল বা নেতাকে সমালোচনা করাও আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা চেষ্টা করব যুক্তির কষ্টি পাথরে ঘটনাক্রম বিবেচনা করা। বেগম জিয়া ২৫ তারিখ সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়ে যান। এই কথা সরকারের তরফ থেকে অতীতে বহুবার বলা হয়েছে। এখনও সেই কথার পুনরাবৃত্তি চলছে। সকালে মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে বের হয়ে বেগম খালেদা কোথায় গিয়েছিলেন? বিডিআর ঘটনার পর ৭ বছর ১ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এই ৭ বছরেও সরকার এই বিষয়টি উদঘাটন করতে পারেনি যে, সকাল বেলা বের হয়ে তিনি কোথায় গিয়েছিলেন? যেখানে গিয়েছিলেন সেখানে তিনি কতদিন ছিলেন? এই সরকার ৭ বছর হলো ক্ষমতায় আছে। এই ৭ বছরেও এই ছোট্ট তথ্যটি কি উদযাটন করা যেত না? 
সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানের ঐ সভা থেকে সর্ব প্রথম উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদেরকে জানানো হয যে, আগের রাতে লন্ডন সময় রাত ১ টা থেকে দেড় টার মধ্যে তারেক রহমান নাকি বাংলাদেশে ৪৫টি টেলিফোন কল করেছিলেন। লন্ডন সময় রাত ১ টা থেকে দেড়টার অর্থ হলো বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা। অর্থাৎ আধাঘণ্টার মধ্যে তারেক রহমান লন্ডন থেকে বাংলাদেশে ৪৫টি কল করেছিলেন। আধাঘণ্টা বা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ৪৫ টি কল করা চাট্টিখানি কথা নয়। কারণ এখানে রয়েছে সময়ের প্রশ্ন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, আধাঘণ্টা বা ৪৫ মিনিটে কি ৪৫টি ওভারসিজ কল করা সম্ভব? আর তিনি যদি তার আম্মাকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতেই বলবেন, তাহলে ৪৫ বার কল করে ৪৫ বার বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলবেন কেন? এক দুই বার কল করে বললেই কি যথেষ্ট হতো না? 
আমাদের দেশে পলিটিক্যাল কালচার হিসেবে একটি ধারা গড়ে উঠেছে। সেটি হলো পলিটিক্যাল রেটোরিক হিসেবে আমরা বহু কথা বলে থাকি। তারপর যখন ক্ষমতায় যাই বা অন্য কোন দায়িত্বে যাই তখন রেটোরিক হিসেবে উচ্চারিত ওই সব কথা বা অভিযোগ বেমালুম ভুলে যাই। ঐদিন আধাঘণ্টার ভেতর তারেক জিয়া যদি সত্যিই সত্যিই প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ মতে লন্ডন থেকে যে ৪৫টি টেলিফোন কল করে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তার বিস্তারিত বিবরণ বের করা উচিত। হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় একটি মানুষ ২০-২৫ টি কেন এমনকি ৫০টি কল করলেও কিছু এসে যায় না, কারণ সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু যেহেতু ঐ অভিযোগ মোতাবেক ঐ সব টেলিফোন কলের দুই চার ঘণ্টার মধ্যেই বিডিআর ক্যাম্পে ম্যাসাকার শুরু হয়ে যায়। তাই ঐ সব কলের আদ্যোপান্ত জানা দরকার। তথ্য-প্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে ঐ নির্দিষ্ট সময়ে তারেক রহমান তার ফোন থেকে কোন কোন নম্বরে ফোন করেছেন সেটি বের করা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে কঠিন কোন ব্যাপার নয়। শুধু তাই নয়, এই ৪৫টি টেলিফোন কলে তারেক জিয়া কি বলেছেন আর অন্য প্রান্তে কী উত্তর দেয়া হয়েছে সেই কথোপকথন বিস্তারিতভাবে রেকর্ড করা আছে। সুতরাং ট্র্যাকার দিয়ে কল লিস্ট চেক করলে এবং সংলাপ পরীক্ষা করলেই সবকিছু ধরা পড়বে। আমাদের দেশের একটি বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলকে প্রায়শই দেখা যায়, অমুক নেতা অমুকের সাথে টেলিফোনে কি বলেছেন সেই ডায়ালগ তাদের টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়। এই ক্ষেত্রে বিগত ৭ বছর হলো সেটি করা হয়নি। সেগুলো না করে জনসভায় অভিযোগ করা কতদূর যুক্তিসঙ্গত হয়েছে সেটি বিবেচনার বিষয়।
॥ তিন॥
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐ জনসভা থেকে জানা গেল যে, ঐ ঘটনার নাকি বিচার হচ্ছে। যে ঘটনার বিচার হচ্ছে সেই ঘটনা সম্পর্কে বিচার চলা কালে কোন মহল থেকে কোন বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়। সরকারের পক্ষেতো নয়ই, কারণ সরকারের বক্তব্যে তদন্দ কমিটি প্রভাবিত হতে পারে। অতীতেও দেখা গেছে অত্যন্ত দায়িত্বপূর্ণ আসন থেকে বিচার শেষ হওয়ার আগেই ব্যক্তি বা দল বিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। যার বিচার করেন বা তদন্ত করেন তারাও তো সরকারি চাকরি করেন। ফলে তদন্ত রিপোর্ট বা বিচার প্রক্রিয়ায় সেই সব উক্তির ছায়াপাত ঘটে। বিচার চলাকালে নির্বাহী বিভাগের এই ধরনের মন্তব্য বিচার শেষ হওয়ার আগেই রায় দেয়ার পর্যায়ে পড়ে।
বলা হয়েছে যে, ঐ বিডিআর বিদ্রোহে যে ৫৭ জন সেনা অফিসার নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৩ জনই নাকি আওয়ামী ঘরানার মানুষদের বংশধর। তিনি বলেন, তাদেরকে কেন সেখানে পোস্টিং দেয়া হয়েছিল, সেটাও একটা প্রশ্ন। ঐ ৩৩ জন আওয়ামী লীগের মানুষদের বংশধর নাকি অন্য কোন দলের মানুষদের বংশধর সেটি এই ক্ষেত্রে খুব বড় একটি বিষয় নয়। যে দল বা গোষ্ঠীর মানুষদের বংশধর তারা হয়ে থাকুন না কেন, তারা সকলেই আদম সন্তান। তাদের মৃত্যুতে সকলের চোখে পানি আসবে। তবে একজন দুইজন নয়, একেবারে ৩৩ জন আওয়ামী লীগার বলে তাদেরকে ম্যাসাকারের আগে সেখানে পোষ্টিং দেওয়া হয়েছিল সেটি কোন লজিকই সমর্থন করবে না। কারণ কবে ম্যাসাকার হবে সেটি যেমন আগেভাগে জানা সম্ভব নয়, মুখ চিনে চিনে পোস্টিং দেওয়াও সম্ভব নয়।
শুধুমাত্র সোমবারের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভার কথাই বলবো কেন? এর আগেও ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার মতো বিদেশী নাগরিকদের হত্যার সাথে সাথেই সরকার সেই হত্যাকাণ্ডের সাথে বিএনপি এবং জামায়াতকে জুড়ে দিয়েছে। তারপর তো কয়েক মাস পার হয়ে গেল। জামায়াতের কোন নেতা কর্মীকে কি সেখানে দোষী পাওয়া গেছে? বিএনপিরই বা কোন নেতা কর্মীকে কি দোষী পাওয়া গেছে? এভাবে এক বা একাধিক দল বিশেষের নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনা সঙ্গত নয়। জামায়াতের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনা অত্যন্ত অনৈতিক কাজ। কারণ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ঐ ধরনের রাজনীতিতে মোটেও বিশ্বাস করে না। জামায়াতে ইসলামীর ট্র্যাক রেকর্ড অত্যন্ত পরিষ্কার। তারা অতীতে কোনোদিনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতো না, আজও করে না। ষড়যন্ত্রের সুড়ঙ্গ পথে জামায়াত কখনো হাঁটাহাঁটি করেনি। আজ পর্যন্ত সরকারের কাছে এমন কোন তদন্ত রিপোর্ট নাই যেখানে দেখা যাবে যে, সরকার উৎখাতের জন্য জামায়াত কোনোদিন সেনাবাহিনী, বিডিআর বা বিদেশীদের সাথে ষড়যন্ত্র করেছে।
॥চার॥
আওয়ামী ঘরানা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বলা হচ্ছে যে, বেগম খালেদা জিয়া নাকি লন্ডনে বসে এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিচ্ছেন। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে অগ্র-পশ্চাত না জেনে না শুনে সাথে সাথেই জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি’র ওপর দোষ চাপানো গুরুতর অন্যায়। এর আগে যখন পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির জনসভায় বোমা হামলা হয় এবং একাধিক ব্যক্তি মারা যায় তার মাত্র ১৫ মিনিট পরে আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয় যে, বিএনপি এবং জামায়াত এই বোমা হামলার জন্য দায়ী। বিএনপি এবং জামায়াত যেহেতু এই বোমা হামলার সাথে দূরতম সম্পর্কও ছিল না তাই তারা আওয়ামী লীগের এই অভিযোগ দৃঢ় ভাবে অস্বীকার করে। তারপর প্রায় ২ দশক পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রথম মেয়াদ ছাড়াও আরও একবার ক্ষমতায় এসেছে এবং এখন একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু এই ১৯-২০ বছরের মধ্যে সিপিবি’র মিটিংয়ে বোমা হামলার কোন কূল-কিনারা হয়নি।
এ রকম বহু ঘটনাই ঘটেছে। প্রত্যেকবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতের ঘাড়ে সবগুলো ঘটনার দোষ চাপিয়েছে। তারপর বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ঐসব বোমা বিস্ফোরণ এবং প্রাণহানির কোন সুরাহা হয়নি।
ব্লেম গেমের ধারাবাহিকতায় এবার বিডিআর ম্যাসাকারকে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মূলধন হিসেবে ব্যবহার করছে। মানুষ সুনিশ্চিত যে, এই অভিযোগেরও কোন কূল-কিনারা হবে না। এসব কিছুই করা হচ্ছে ক্ষমতার রাজনীতিতে বিরোধী দলকে টেক্কা মারার জন্য। বিবেকবান রাজনৈতিক মহল মনে করেন যে, এমন দারুণ স্পর্শকাতর বিষয়কে ক্ষমতার রাজনীতির ইস্যু বানানো কারো উচিত নয়। 
আসিফ আরসালান

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads