মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

এক অধ্যাপকের ‘বাচ্চা ছেলে’ তত্ত্ব


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনীয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল দারুণ এক খেল দেখিয়ে তার সুশীলীয় জারিজুরি ফাঁস করে দিয়েছেন। তিনি যে কত বড় মতলববাজ, তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এই ভদ্রলোক ভাল এক ব্রত গ্রহণ করেছেন। আর তা হলো : গাছেরও খাবো, তলেরও কুড়াবো। অথবা বলা যায়, তার নীতি হলো : ‘আমি জলে নামবো, জল ছিটাবো, জল তো ছোঁবো না/ আমার যেমন বেণী তেমনি রবে, চুল ভেজাবো না।’ এই হলো আমাদের সুশীল সমাজ আর সেক্যুলারদের একেবারে জলজ্যান্ত উদাহরণ।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এর ভাইস-চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন অনেক দিন ধরেই। শিক্ষকদের ঐ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ছুটিতে যান ভিসি অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়া। কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহতই থাকে। এতে ভিসি ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আবারও কাজে যোগ দেন। এতে পরিস্থিতি ফের আরও বেশি উত্তপ্ত হয়ে ইঠতে থাকে। নিয়োগ-ভর্তিসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ভিসি আমিনুলের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করে আসছেন শিক্ষকরা। কিন্তু এরকম দুর্নীতিবাজ-বান্ধব লোকই তো চাই সরকারের। এসব লোক যেমন চূড়ান্ত বেহায়া হয়, তেমনই দরকার সরকারের। ভিসি আমিনুলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি অবিরাম মিথ্যা কথা বলেন। সরকারের শীর্ষস্থানীয় লোকেরা যেখানে অবিরাম মিথ্যা কথা বলে, সেখানে মিথ্যাবাদীরাই তো হবে তাদের প্রিয় স্যাঙ্গাৎ- এটাই তো স্বাভাবিক। ফলে আমার বিবেচনায়, সরকারের দৃষ্টিতে শাহজালালের ভিসি হবার সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি আমিনুলই। শাহজালালে তিনি আওয়ামী লীগের একেবারে যোগ্য প্রতিনিধি।
আর তাই তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য সরকার মরিয়া। আর শত বিরোধিতার মুখে নিজের পদ আঁকড়ে থাকতে মরিয়া আমিনুল। আর এই ভিসির বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন, তারা হলেন ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক পরিষদ’। এরাও বিশ্বাসের দিক থেকে কড়া আওয়ামী লীগার। একেবারে খাঁটি ‘সেক্যুলার’ বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী। তবে সবাই নাস্তিক কিনা, বলতে পারি না। এরা আবার ভিসিকে অসহযোগিতা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭টি প্রশাসনিক পদের ৩৫টি থেকেই পদত্যাগ করেছেন। ড. জাফর ইকবালও সেই পদত্যাগকারীদের একজন। তার এসব কা- যে রম্য নাটক সেটা পরিষ্কার হতে খুব বেশি দেরি হয়নি।
গত ২৯ আগস্ট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের ঘটনা একটা নতুন মোড় নেয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিকক্ষকরা ঐ দিন সকাল ৯টা থেকে ভিসির কার্যালয় অবরোধ করার ঘোষণা দেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভিসিকে রক্ষার জন্য জানবাজি রাখতে প্রস্তুত। ভিসিকে শিক্ষকরা নিয়োগ দেননি। তিনি নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আনুকূল্যে। ছাত্রলীগের কাছে তাই শিক্ষকরা তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন। বরং শেখ হাসিনার প্রতিনিধি তাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অতএব ভিসিকে রক্ষায় শিক্ষকদের কপালে লাথি মারতে তাদের বাধবার কোনো কারণ নেই। আবার ভিসি তাদের টেন্ডার দিতে পারেন। খুন করলে ছাড়িয়েও আনতে পারেন। বহিষ্কৃত হলেও পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। ফলে এই ভিসিকেই তো তাদের চাই। আর সে কারণেই ২৯ আগস্ট সকাল ৬টা থেকেই ছাত্রলীগ ভিসি অফিসের সামনে অবস্থান নেয়। শিক্ষকরা সমবেত হতে থাকেন সকাল ৮টা থেকে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে শিক্ষকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের গালিগালাজ শুরু করে। এ সময় ভিসি আমিনুল সেখানে এসে উপস্থিত হন। শিক্ষকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগাররা তাকে আগলে তার অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা কিছুক্ষণ আলাপ-আলোচনা করে বাইরে এসে ‘জয় বাংলা’ ও ‘শাবিপ্রবির মাটি ছাত্রলীগের ঘাঁটি’ স্লোগান দিয়ে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়। ছাত্রলীগাররা শিক্ষকদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে কিল-ঘুষি চড়থাপ্পড় ও লাথি মারতে শুরু করে এবং মহিলা শিক্ষকদেরও গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এ হামলার শিকার হন ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকও। ছাত্রলীগাররা কমপক্ষে ১০ জন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে।
মজার ব্যাপার হলো শিক্ষকদের এই আন্দোলনের সঙ্গে যোগ দেননি ড. জাফর ইকবাল। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগাররা তাকে নাকি আগে থেকেই বলেছিল যে, আওয়ামী লীগ বিএনপি জামায়াত হেফাজত হুজি কেউই তাকে দেখতে পারে না। সুতরাং তার এসব ঝামেলায় না যাওয়াই উচিত। ফলে তিনি শিক্ষকদের আন্দোলনে সরাসরি যোগ দেননি। তিনি একাকী দূরে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিলেন। তবে তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষকরা যে কারণে আন্দোলন করছেন, আমি তা শতভাগ সমর্থন করি। এ উপাচার্য যোগদানের দু’ মাস পর আমি তার সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি, তিনি মিথ্যা কথা বলেন। যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলেন, তার সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করতে পারল? আর সেটা আমাকে এখানে বসে বসে দেখতে হলো। উপাচার্যই ছাত্রলীগকে শিক্ষকদের ওপর লেলিয়ে দিয়েছেন।’
জাফর ইকবালের আরও একটি বড় দুঃখ এই যে, ‘যে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সেই স্লোগানের এত বড় অপমান আমি আমার জীবনে দেখিনি।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমার জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা হলো। আজ যা দেখলাম, আমার জীবনে কল্পনাও করতে পারিনি। কীভাবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা আমার শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করতে পারল, আর সেটা আমাকে এখানে বসে বসে দেখতে হলো। এরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়, তবে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরা উচিত। তবে এখনও গলায় দড়ি দিয়ে না মরলেও তীব্র মানসিক যন্ত্রণায় আমাকে ভুগতে হচ্ছে।’ এসময় ঘটনাস্থলের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয় গোলচক্করে একাকী প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে সিঁড়ির ওপর বসে ছিলেন ড. জাফর ইকবাল। সুবিধাবাদী আর কাকে বলে!
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষক রয়েছেন। কিন্তু কারও সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে এত আলোচনা হয়নি। কেউ তেমন মাথাও ঘামায়নি। আমরা খবরের কাগজে হামলার ছবি ও খবর ছেপেছি। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়ও এর প্রচার হয়েছে। কিন্তু ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে শুধু জাফর ইকবালের খবর এসেছে আলাদাভাবে। কারণ কিশোরদের লেখক হিসেবে তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সেসব লেখার বিষয়বস্তু কিশোরদের মধ্যে নীতিনৈতিকতার বিকাশ ঘটাচ্ছে না বিনাশ সাধন করছে, সে প্রশ্নও উপেক্ষণীয় নয়। সে কারণেই তিনি আলাদা হয়েছেন। আর এমনই আলাদা হয়েছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষকরা যখন ছাত্রলীগারদের কিল-ঘুষি লাথি খাচ্ছিলেন, তখনও তিনি তাদের পাশে এগিয়ে যাননি। একা বৃষ্টিতে ভিজে নাটক করেছেন।
এর পরের কাহিনী আরও নাটুকে। আরও সুবিধাবাদী আর গাছেরটা ও তলেরটা খাওয়ার অদ্ভুত ফন্দি। তিনি জলে নামবেন, জল ছিটাবেন, জল তো ছোঁবেন না। তার যেমন বেণী তেমনি রবে, চুল ভেজাবেন না। কারণ দেখা গেল, গত ২রা সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩ নেতাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগের ৪ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৎক্ষণাৎ জাফর ইকবালের বাইরের ভদ্রতার মুখোশ খসে পড়ে তার ভেতরের কুৎসিৎ চেহারাটা বেরিয়ে পড়ল।
ঐ ৭ জন ছাত্রলীগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় একেবারে মুষড়ে পড়েছেন জাফর ইকবাল। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘শিক্ষকদের ওপর কে হামলা করেছে? ছাত্রলীগের ছেলেরা? না। এরা তো ছাত্র। আমাদের ছাত্র। এত কম বয়সী ছেলে। এরা কী বোঝে? ওদের আপনি যা বোঝাবেন, তাই বুঝবে। কাজেই আমি যখন দেখলাম, তিনজন ও চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তখন আমার ওদের জন্য মায়া লাগছে। এদের যারা বিপথগামী করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এই বাচ্চা ছেলেগুলোকে মিসগাইডেড করে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখন তারাই বিপদে পড়েছে। ছাত্রত্ব বাতিল হবে। শাস্তি হবে। ওরা কী দোষ করেছে? কাজেই এখন আমার খুব খারাপ লাগছে। ছাত্রলীগের ছেলেদের শাস্তি দেওয়াটা এক ধরনের অন্যায়। যে পাঠিয়েছে, তাদের শাস্তি দিন।’
‘ছাত্রলীগ থেকে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে’- প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এরা আমাদের ছাত্র।  এদের আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমরা ওদের মাথায় হাত বুলিয়ে ওদের সঙ্গে কথা বললে ওদের ঠিক জায়গায় নিয়ে আসতে পারব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগাছা দূর করে দিতে। আমি বলি,না। আগাছা আমরা ফুলগাছে পরিণত করব। সম্ভব। আমাদের ছাত্র। আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। আমরা ওদের ঠিক করে দেব।’ শুনলে মনে হবে, জাফর ইকবাল বোধকরি এইমাত্র কপোট্রনিক কোনো যন্ত্রে নেপচুন গ্রহ থেকে বাংলাদেশে অবতরণ করলেন।
জাফর ইকবালের বক্তব্যগুলো বড় অদ্ভুত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেটালো ছাত্রলীগের সদস্যরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই সকল মানুষের দাবি হবে, দায়ী ছাত্রলীগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু ছাত্রলীগ নিজে যখন এমন কাণ্ডকে দোষ মনে করে তার সদস্যদের বহিষ্কার করল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যখন ব্যবস্থা নিল, তখন মায়াকান্না জুড়ে দিলেন ড. জাফর। বলে বসলেন, এটা অন্যায়। অথচ, এদের কর্মকাণ্ডের জন্য মাত্র দুদিন আগেই তিনি গলায় দড়ি দিতে চাইছিলেন। ওরা নির্দোষ। তা হলে গলায় দড়ি দিতে চেয়েছিলেন কেন?
আবার বললেন, না, ছাত্রলীগ থেকে আগাছা পরিষ্কার করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী যেন ঐ ছাত্রদের তার কাছে পাঠিয়ে দেন। তিনি ছাত্রদের একেবারে মানুষ করে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী কেন, অভিভাবকরাও তো জাফর ইকবালদের কাছেই তাদের সন্তানদের পাঠিয়েছিলেন। এতদিন তাদের মানুষ না করে খুনী, গুণ্ডা-মাস্তান-টেন্ডারবাজ জিম্মিবাজ কেন করলেন? এই ছাত্রলীগাররা তো জাফর ইকবালদের কাছেই আছে।
আর তিনি একবারে কিল খেয়ে কিল হজম করে গদগদ হয়ে বললেন, ওরা নাকি বাচ্চা ছেলে। যে ‘বাচ্চা ছেলেরা অবাধে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করতে পারে, নিজেদের সহপাঠীকে খুন করতে পারে মায়ের পেটের শিশুকে গুলী করে আহত করতে পারে, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজিতে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হতে পারে, যারা নারী ধর্ষণে বেপরোয়া, তাদের ‘বাচ্চা ছেলে’ বলে সার্টিফিকেট দিয়ে ড. জাফর তাহলে কী হাসিল করতে চাইছেন?
আসলে বিষয়টি খুব স্পষ্ট। ড. জাফর ইকবাল চাইছেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ফলে সরকার যদি ভিসি ড. মোতালেবকে সরিয়ে দেয়, তাহলে সে জায়গায় ভিসি হওয়ার খায়েশ আছে ড. জাফরের। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষকদের বলবেন, আপনাদের আন্দোলনে যোগ না দিলেও আমি শতভাগ আপনাদের সঙ্গে আছি। আন্দোলনে যারা নেই, তাদের বলবেন, আমি তো আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছিলাম না, আপনাদের সঙ্গে আছি। অতএব আমাকে সমর্থন দিন। আর ছাত্রলীগারদের বলবেন, আমি তোমাদের শাস্তির বিরোধিতা করেছি। অতএব আমাকে সমর্থন করো। ভ্যালারে জাফর, বেঁচে থাক চিরকাল।
দেখা যাক, এ খেলা শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়ায়।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads