রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫

‘বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে’


সভ্যতার ক্রমবিকাশের কারণেই বিচারব্যবস্থার বিবর্তন। সভ্যতা যখন বিকশিত হতে থাকে তখন থেকে যেভাবেই কথাটা আসুক না কেন - এটাই দ্রুব সত্য যে, “জোর যার মুল্লাুক তার” এ আলোকেই বিচারক নির্ধারণ, বিচারপদ্ধতি নির্ণয় ও বিচার নিষ্পত্তি হয়ে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদের শুনতে হয় যে, “বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে” এবং “বিচার বেচাকেনা হয়।” আরো কথা চাউর হয় যে, “হাওয়া দেখে বিচারের রায় হয়” “অর্থাৎ যার হাতে ক্ষমতা রায় তার পক্ষেই যায়।” আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিসম্পন্ন দেশবরেণ্য আইনজ্ঞ ও বিশিষ্টজনদের এটাই মন্তব্য।
বিচারকের সমালোচনা করা যাবে না। কারণ তাদের কর্মকান্ডের কেউ যাতে সমালোচনা না করতে পারে এ জন্যই আদালত অবমাননার আইন করা হয়েছে। আদালতের সম্মান সমুন্নত থাকুক আইন পেশার স্বার্থেই আমরা এটা চাই। আদালতের ভাবমূর্তি যত বৃদ্ধি পাবে আইনজীবীদের সম্মান ততই বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু এখন আদালত অবমাননার আইন ব্যবহৃত হচ্ছে - বিচারকের অপকর্ম ঢাকা দেয়ার অস্ত্র হিসেবে। এখানে আলোচ্য বিষয়টি আদালত অবমাননার উদ্দেশ্যে না হলেও বিচার সংক্রান্ত কথা উঠলে আদালতের প্রসঙ্গ এসে যায়।
বহু বিবর্তনের পর বর্তমানে আমাদের দেশের আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থার যে কাঠামো তার যদি একটু সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করি তা হলে দেখা যায় যে, রাষ্ট্রপতির অধীনে আইন, শাসন ও বিচার ব্যবস্থা নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাগজে কলমে স্বাধীন। তদুপরি ১/১১ সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে অর্ডিন্যান্স করে বিচার বিভাগকে স্বাধীন করেছেন। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন ওঠে বিচার বিভাগ কি প্রকৃতপক্ষেই স্বাধীন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির মুখে মুখে তো বিচার বিভাগ অবশ্যই স্বাধীন। কিন্তু এর বাস্তব চিত্র কী? আইন করে স্বাধীন করার পরও যদি তারা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে না পারে তবে এর জন্য দায়ী কে?
বিচার বিভাগের সাথে প্রসঙ্গক্রমেই আইন বিভাগের কথা উঠে আসে। জাতীয় সংসদ আইন প্রণেতা। আইন প্রণীত হবে জনগণের কল্যাণে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইনপ্রণেতা বা ক্ষমতাসীনদের রক্ষার জন্যই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ কারণেই কমিউনিস্ট এক বিপ্লবী নেতা পার্লামেন্টকে শুয়োরের খোঁয়াড়ের সাথে তুলনা করেছেন। সে ভাষায় কথা না বললেও এটাই বলাবাহুল্য যে, পার্লামেন্ট ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে জনতার ওপর স্টিম রোলার চালানোর কঠিন কঠিন আইন পাশের একটি ফ্যক্টরিতে পরিণত হয়েছে। এ আইন ফ্যাক্টরি সংবিধানের মৌলিক চাহিদা পূরণে কতটুকু সফল তা আবশ্যই পর্যালোচনার দাবি রাখে।
 দেশের আপামর জনগণ রক্ত দিয়ে দেশটি স্বাধীন করেছিল সার্বভৌম কল্যাণমূলক একটি রাষ্ট্রের জন্য যার সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ আছে যে, “আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা - যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।”
অনেক আলোচনা পর্যালোচনার পর উক্ত প্রস্তাবনাসহ অন্যান্য প্রস্তাবনা নিয়ে ০৪/১১/১৯৭২ ইং তারিখে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সংবিধান রচিত হয়। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আসে ০৪/১১/১৯৭২ ইং এর পর শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ কতগুলি আইন পাশ করেছে?
 যে গণতন্ত্রের জন্য পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশের সৃষ্টি হলো, সেই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সংবিধানে ১১৭ক অনুচ্ছেদ সংযোজন করে বাকশাল কায়েম করে সর্বস্তরে গণতন্ত্রের মুখে তালা দেয়া হলো। গণতন্ত্র রক্ষা ও মৌলিক অধিকারের নামে শাসক গোষ্ঠীর শাসন করার অধিকারের আইন প্রণয়ন করা হয়েছে; কিন্তু জনগণের অধিকার রক্ষায় বা শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতকে রক্ষার আইন প্রণয়ন হয় না। যদিও জনকল্যাণের নামে আইন হয় কিন্তু এর প্রয়োগ হয় জনগণের শোষণের জন্য। দেশে আইনের প্রয়োগ চলছে এখন দুইভাবে। বিরোধী দলের জন্য যেভাবে আইন প্রয়োগ হয় ক্ষমতাসীনদের জন্য হয় তা উল্টোভাবে।
 যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন পাশ হয়েছে - দুর্নীতি দমনের জন্য। কিন্তু এর প্রয়োগ হচ্ছে একপেশে। ১/১১ সামরিক জান্তাবেষ্টিত সরকার অনেক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর হাই কোর্টের মহামান্য বিচারপতিদের রায়ে - বা দুদকের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের সব-মামলা খালাস এবং বিরোধী দলীয় নেতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তার দলীয় লোকদের মামলা এখনো ঝুলে আছে। উল্লেখ্য, একজন বিচারপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার শুনানির সময় প্রকাশ্যে বলেছিলেন - “দুদকের অফিসারদের পিটানো উচিত”। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় কী তিনি এ ধরনের মন্তব্য করবেন? বলবেন না।
প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি - সকলেই আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। আইনের শাসনে প্রতিষ্ঠার প্রধান শর্ত - স্বাধীন বিচার বিভাগ। প্রশ্ন হলো - বিচার বিভাগ কী স্বাধীন? যদি না হয় তবে এ জন্য দায়ী কে?
সংবিধানের ২য় পরিচ্ছেদের ১১৬ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে - “এ সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন।” সংবিধান এতো বড় নিশ্চয়তা দেয়ার পরও কি বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিজেদের কি স্বাধীন ভাবেন?
বিষয়টি দৃশ্যমান যে, পুলিশ যে ভাষায় কথা বলে সে ভাষাতেই ম্যাজিস্ট্রেটগণ সিদ্ধান্ত দেয়। যেমন- POLICE REMAND বিচার প্রার্থীর জন্য একটি আতঙ্ক। REMAND এর আদেশ দেয়ার পূর্বে REMAND সম্পর্কিত যুক্তিকথা অনেক সতর্কতার সাথে বিবেচনার জন্য শুধু - বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে নয় পাক-ভারত উপ-মহাদেশ এবং ব্রিটিশ উচ্চ আদালতের দিক নির্দেশনা রয়েছে। অথচ বিরোধীদলীয় - জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের এখন মামলায় REMAND দেয়া হচ্ছে যেখানে REMAND এর কোন যৌক্তিকতা নাই। পূর্বে প্রদত্ত REMAND থেকে এখন পর্যন্ত মামলা তদন্তের অগ্রগতি দেখাতে পারছে না। বিরোধী দলীয় রাজনীতি নস্যাৎ করার জন্য আদালতকে সরকার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সুবিধামত পোস্টিং ও প্রমোশনের বদৌলতে আদালত সরকারের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে এটাই বর্তমানে সর্বস্তরের অভিযোগ।
কিছু ঘটনা বিশ্লেষণ করলে বিচার বিভাগের নাজুক পরিস্থিতি সহজেই উপলব্ধি করা যায়। যেমন- তারেক রহমান সরকারের সবচেয়ে বড় এ্যালার্জি। তারেক রহমান দেশ বিক্রি করেছেন - এটাই সরকার ও সরকারি দল প্রমাণ করতে চেয়েছে। কিন্তু মামলা থেকে তারেক’কে যে বিচারক খালাস দিল সে বিচারক এখন দুদকের ভয়ে পলাতক। দেশে থাকলে দুদক ছাড়াও অন্য কোন নির্যাতনের শিকার হতেন ভেবেই তিনি দেশ ছেড়েছেন। এখন থেকে কোন বিচারক কি তারেক রহমানকে সাজা না দিয়ে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন? যদি তাই হয় তবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোথায়?
প্রহসনের নির্বাচনে এরশাদ যাবে না - এ কথা তিনি দৃঢ় চিত্তে যখনই বলা শুরু করলেন তখনই তাকে রোগী বানিয়ে হাসপাতালে রাখা হলো। তিনি গ্রেফতার হবেন নিশ্চিত হয়েই রিভলবারে ৪ (চার) গুলী রিজার্ভ রাখার কথা দেশবাসীকে জানিয়ে ছিলেন। আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। আত্মহত্যা করার পূর্বেই তিনি বন্দী হয়ে গেলেন। তার মুক্তির দাবিতে পোস্টার হলো। এতো নাটকেও বিচলিত হই না; কিন্তু বিচার বিভাগ যখন প্রহসনের নাটকের ক্রীড়নক হয়ে যায় তখনই ব্যথিত হই। যেমন- মঞ্জুর হত্যা মামলার সকল প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়ে যখন যুক্তিতর্কের জন্য - তারিখ নির্ধারণ ছিল এর পূর্বেই বিচারক বদলি হয়ে গেলেন। নির্বাচনের পর পর এরশাদ বলেছেন ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একতরফা প্রহসনের নির্বাচন। শীঘ্রই নির্বাচন দিতে হবে। নতুন বিচারক ৩৪ বছর মামলা চলার পর তিনি দিলেন অধিকতর তদন্তের আদেশ এ নজীর বাংলাদেশে নাই। এ আদেশের পর এখন এরশাদ বলতে শুরু করেছেন যে - “এ সরকার ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য নির্বাচিত। এর পূর্বে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নাই।” এখানেই বিচার বিভাগের তেলেছমাতি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার এটাইতো নমুনা।
প্রধান বিচারপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ০৫/৪/২০১৪ ইং তারিখে এক বক্তৃতায় বলেছেন, “আইনজীবীদের উচিত বিচারাঙ্গনকে বিতর্ক (কন্ট্রোভার্সি) থেকে দূরে রাখা।” প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মহোদয়কে সবিনয়ে বলতে চাই - বিচারাঙ্গনকে বিতর্ক থেকে ঊর্ধ্বে রাখার জন্য আইনজীবীদের দায়িত্ব থাকলেও বিচারকদের কি কোন দায়িত্ব নাই? আদালতের কার্যক্রম নিয়ে আজ পর্যন্ত যতগুলি বিতর্ক হয়েছে তার অধিকাংশই হয়েছে বিচারকদের কারণে। আইনজীবীদের কারণে বিতর্ক বা আদালতের ভাবমূতির্ ক্ষুণ্ন হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সিদ্ধান্ত দেন বিচারক। তবে কোন ক্ষেত্রে আইনজীবী যদি অসৎ হয় আর বিচারক যদি সেখানে সৎ থাকেন সেখানেও আইনজীবীর কারণে বিতর্ক হওয়ার সুযোগ নাই। আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল প্রথম বিতর্কিত হয়েছে বিচারকদের কারণে। স্কাইপিতে বলা কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অপবাদ মাথায় নিয়ে বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। সাকা চৌধুরীর রায় প্রদানের পূর্বেই পত্রিকায় রায় প্রকাশিত হয়েছে। ন্যায় বিচার যদি বাধাগ্রস্ত হয় তবে আদালতকে নিয়ে বিতর্ক হবেই, হবে।
অতি সম্প্রতি রাজনৈতিক কারণে হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন দেয়া যাবে না মর্মে সুপ্রিম কোর্ট এ্যাপিলেট ডিভিশন দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এ নির্দেশনার পাশাপাশি রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলা বা নির্দোষ মানুষকে আসামী করা যাবে না এ মর্মে পুলিশ ও সরকারকে নির্দেশনা দিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিষয়টি দৃশ্যমান হতো। অতএব, আদালতকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার দায়িত্ব আদালতের এবং সর্বোচ্চ আদালতের দায়িত্ব আরো বেশি।
পিলখানায় যখন সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয় তখন আমি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। টি.ভি সংবাদ ও পত্রিকার ভাষা থেকে মনে হচ্ছিল - সেনাবাহিনীকে ধ্বংস বা পঙ্গু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে অবস্থা কোন পিতামাতা তার সন্তানকে সেখানে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না। পূর্বে ছাত্রে ছাত্রে মারামারি হতো। এখন মারামারি, ধর্মঘট চলে শিক্ষকদের মাঝে। রানা প্লাজাসহ কিছু ঘটনায় বিদেশীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসছে না। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক, ডেসটিনি এ জাতীয় কিছু কর্মকা-ে দেশের অর্থনৈতিক তারল্য বরফ জমাট বেঁধেছে। সামাজিক অস্থিরতা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পত্রিকা খুললেই খুন আর খুন। প্রার্থী ও ভোটারবিহীন নির্বাচন। নতজানু নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ ভূমিকায় দেশবাসী হতাশ, আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। গৃহপালিত বিরোধী দল নিয়ে অকার্যকর মৃত জাতীয় সংসদ। আন্তর্জাতিক গগনে পদ্মা সেতুর মত  কেলেঙ্কারি বাংলাদেশের ললাটে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা ক্ষমতাশীন দলের ক্যাডার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিছু কিছু মন্ত্রীর কথাবার্তা নিম্নস্তরের চেয়েও নীচে। নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন, ইলিয়াস আলীর মত লোক নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের উদ্ধারের তো দৃশ্যমান উদ্যোগ নাই বরং টিপ্পনী মেরে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়া হচ্ছে। এরপরও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর যদি কালিমা পড়ে তবে দেশবাসী যাবে কোথায়?
পরিশেষে বলতে চাই যে, বিচারকগণ মন মগজে নিজেকে যদি স্বাধীন মনে না করেন তবে আইন করে বা বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে বিচার বিভাগকে স্বাধীন বানানো যাবে না, যাবে না, যাবে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষায় সকলের স্বার্থে সকলেরই সক্রিয় হওয়া উচিত। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads