শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

সংলাপ করার জন্য বান কি মুন এবং জন কেরি বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছেন


সরকারি মহল থেকে সুকৌশলে কিন্তু জোরদার প্রচারণা চালানো হচ্ছিল যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় বিরোধী জোটের ৪৬ দিনব্যাপী অবরোধ এবং হরতাল  ব্যর্থ হয়েছে। তাদের প্রচারণা এই যে এই আন্দোলনে দেশবাসী কর্ণপাত করেনি, আর বিদেশীরাও সেটি গায়ে মাখেনি। শীঘ্রই এই আন্দোলন ভেঙ্গে পড়বে এবং আন্দোলনের স্বাভাবিক মৃত্যু ঘটবে। দেশে এবং বিদেশে এই অবরোধ এবং হরতালের আন্দোলনকে ধিকৃত এবং নিন্দিত করার জন্য আওয়ামী ঘরানা একটি কৌশলী প্রচারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা প্রচার করছে যে এটি কোন রাজনৈতিক বিষয় নয়। এটি স্রেফ সন্ত্রাসী তৎপরতা। যেহেতু এখানে রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই তাই এটিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্র শক্তি অর্থাৎ পুলিশ র‌্যাব এবং বিডিআর দিয়ে দমন করতে হবে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলেন যে ইন্ডিয়া এবং আমেরিকা পুলিশ দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী আন্দোলন যেমন  গুলী করে স্তব্ধ করেছে তেমনি আওয়ামী সরকারকেও সরাসরি গুলী করে ঐসব তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ দেশে এবং বহির্বিশ্বে  শুধু মাত্র পেট্রোল বোমা হামলা প্রচার করেছে এবং  এই হামলার ফলে যেসব লোক নিহত হয়েছে শুধু মাত্র তাদের কথাই হাইলাইট করেছে। কিন্তু তারা বিদেশীদের কাছে এই বিষয়টি বেমালুম চেপে গেছে যে চিত্রের আরেকটি পিঠ আছে।ঐ পিঠ আওয়ামী ঘরানা বেমালুম চেপে যাচ্ছে। চিত্রের সেই পিঠটি নিম্নরূপ :
গত শুক্রবার ২০ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ‘প্রথম আলোতে’ সাম্প্রতিক আন্দোলন ও সহিংসতার একটি খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। ঐ খতিয়ানে দেখা যায় যে অবরোধের ৪৬ দিনে মোট নিহতের সংখ্যা ১২১। এদের মধ্যে পেট্রোল বোমা এবং অগ্নিসংযোগে নিহত হয়েছে ৫৫জন। অবশিষ্ট ৬৬ জনের মধ্যে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে ২৩ জন।প্রথম আলোর রিপোর্ট মোতাবেক সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ১৫ জন এবং অন্যান্য ২৮ জন। এই ‘সংঘর্ষ’ এবং ‘অন্যান্যের’ বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি। পুলিশের গুলীবর্ষণ, ট্রাক থেকে ফেলে দেওয়া, আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ইত্যাদি  উল্লেখ করা হয়নি। যাই হোক, দেখা যাচ্ছে যে পেট্রোল বোমায় যত ব্যক্তি নিহত হয়েছেন (৫৫) তার চেয়ে ক্রস ফায়ার সহ অন্যান্য সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১১জন বেশী(৬৬)। এই ৬৬ টি প্রাণের কোন মূল্য নাই আওয়ামী ওয়ালাদের কাছে। তাই তারা এই ৬৬ জনকে ব্ল্যাক আউট করেছে।
॥দুই॥
কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঠিকই এই বিপুল সংখ্যক মানুষের অসহায় মৃত্যুকে বিবেচনায় নিয়েছে।তাই গত বৃহস্পতিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের এক প্রতিনিধি দল এ সম্পর্কে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়,  
ঢাকা সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর পর যৌথ সংশোধনী বিবৃতি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সফররত সদস্যরা একটা বিষয় পরিষ্কার করে বলতে চায় যে, ১৮ ফেব্রুয়ারির ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল মানবাধিকার। বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকারসহ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্ট দলের সদস্যরা।
গত বুধবারের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা তার সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইউ পার্লামেন্ট প্রধিনিধি দলের নেতা দান প্রেদা সাংবাদিকদের ‘ডেইলি স্টারের’ নাম উল্লেখ করে বলেন, আমি দেখেছি প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ইইউ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। আমার বক্তব্য খুব সহজ। আমরা এখানে এসেছি, কারণ আমরা মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এই বক্তব্যের পর রাতে মন্ত্রণালয় থেকে যৌথ সংশোধনী বিবৃতি পাঠানো হয়। তবে মূল বিতর্কের বিষয়টি এতে স্পষ্ট করা হয়নি।
ই ইউ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের এই বক্তব্যে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিদেশীদেরকে নিয়েও মিথ্যাচার করছে। ই ইউ প্রতিনিধি দলের বিবৃতিতে সেটি স্পষ্ট হয়ে গেছে।
॥তিন॥
এখন দেখা যাচ্ছে যে বিরোধী দলের ৪৬ দিনের অবরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ একঘরে হয়ে পড়েছে । গত ১৯ শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাহমুদ আলী ওয়াশিংটনে জাতি সংঘ মহাসচিব বানকি মুনের  সাথে বৈঠক করেন।
চলমান সংকটের সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ সরকারকে উদ্বুদ্ধ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বানকি মুন।
এছাড়া স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য বিরোধীদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ করতে বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে এক বৈঠকে বানকি মুন এ আহ্বান জানান।
ওয়াশিংটনে চলমান ‘সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলায় হোয়াইট হাউজ সামিট’-এর ফাঁকে এক সাইড লাইনে বৈঠকে অংশ নেন তারা।
বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা এবং প্রাণহানিতে জাতিসংঘের মহাসচিব উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
॥চার॥
বাংলাদেশে বিরোধী দলের ৪৬ দিন টানা অবরোধের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর । গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিব ছাড়াও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সাথে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে জন কেরি 
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে সহিংসতামূলক কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষের প্রাণহানিতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। তিনি অবিলম্বে এ ধরনের সহিংসতা বন্ধের কথা বলেছেন। একই সঙ্গে মত প্রকাশে বাধা দেয়াকে মেনে নেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।  সহিংসতার অবসানে সরকারের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন কেরি।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে জন কেরি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর মধ্যে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের লিখিত বক্তব্যে একথা বলা হয়।
জন কেরি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে নিরীহ মানুষকে টার্গেট করার কৌশল বা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রাজনৈতিক মত প্রকাশে বাধা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।’
সব রাজনৈতিক দলের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে মতপ্রকাশের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন জন কেরি।
গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি দিনকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ায় ওইদিন থেকেই সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অবরোধের পাশাপাশি হরতালও আহ্বান করছে ২০ দলীয় জোট।
এসব কর্মসূচি চলাকালে প্রতিদিনই যাত্রীবাহী বাসসহ যানবাহনে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটছে।
সরকারি হিসেবে, অবরোধ শুরুর পর এ পর্যন্ত পেট্রল বোমা ও হাতবোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ জন।
অপরদিকে এসময়ের মধ্যে কথিত বন্দুক যুদ্ধেও বিরোধী জোটের ২৩ জন নিহত হয়েছেন।
॥পাঁচ॥
বন্দুক যুদ্ধ ক্রস ফায়ার এবং পেট্রোল বোমা নিয়ে দেশে যখন প্রবল অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তখন সমস্যার গোড়ায় হাত দিয়েছে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার একটি যৌথ জরিপ ।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘ব্যর্থ নির্বাচন’ ও ‘চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। একইসঙ্গে সরকারকে ‘নির্বাচিত স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে জরিপে। নির্বাচনে আন্তর্জাতিক মানের ঘাটতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ওপর বৈশ্বিক জরিপ পরিচালনা করে তারা এ তথ্য প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ জরিপ প্রকল্পটি পরিচালিত হয়। বৈশ্বিক এ প্রকল্পের নাম দেয়া হয় ‘নির্বাচনী সততা প্রকল্প’ (ইলেক্টোরাল ইন্টিগ্রিটি প্রজেক্ট-ইআইপি)।
এরমধ্যে ব্যর্থ নির্বাচনের তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন।
এ জরিপে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ও সরকারের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার দাবিতে ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল।
শুধু আ’লীগসহ গুটি কয়েক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক পর্যবেক্ষকই বলেছেন, সমকালীন নির্বাচনগুলোতে আন্তর্জাতিক মান পূরণের ক্ষেত্রে ঘাটতি ছিল। তাঁদের মতে, সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা গেছে নির্বাচিত স্বৈরশাসনগুলোতে (ইলেক্টেড অটোক্রেসি)।
দলীয় প্রতিদ্বনিন্দ্বতার খোলস থাকলেও ওই সব নির্বাচনে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এতে বলা হয়, ব্যর্থ এসব নির্বাচনের ফলে নির্বাচিত কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসে ক্ষয় ধরে, ভোটার উপস্থিতি কমে যায় এবং সরকারের স্থিতিশীলতা দুর্বল হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা বাতিলের প্রতিবাদে বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, ফল হিসাবে ১৫৩টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, প্রধানত আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায়। ওই নির্বাচনে কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু এবং শতাধিক ভোটকেন্দ্র জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রকল্পটি কাজ শুরু করে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে।
॥ছয়॥
ওপরের এই  আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন  ২০ দলীয় জোট সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইস্যুতে ৪৬ দিন ধরে অবরোধ ও হরতাল চালিয়ে যাচ্ছে । এই রাজনৈতিক কর্মসূচির ফাঁক ফোকর গলিয়ে কিছু সন্ত্রাসী এখানে অনুপ্রবেশ করেছে। এরা জঘন্য সন্ত্রাসী কান্ড করেছে। আইনের আওতায় এনে এদেরকে দমন করলে কারো কিছু বলার থাকবে না। কিন্তু তাই বলে তাদের অপতৎপরতার সাথে বিএনপি এবং জামায়াতকে গলিয়ে  ফেললে ঐ সন্ত্রাসীরা সেই ফাঁক ফোকর দিয়ে জনতার কাতারে মিশে যাবে। তারপরেও যদি সরকার বিএনপি এবং জামায়াতের মত বিশাল গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক দলের বিরুদ্ধে জুলুমের স্টীম রোলার চালাতেই থাকে এবং তাদের কর্মীদেরকে হত্যা করতে থাকে  তাহলে এদেশের গণতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার জোর করে চরম পন্থার দিকে ঠেলে দেবেন।
আসিফ আরসালান 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads