মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৭

জঙ্গি তত্ত্ব ও চাণক্য বচন!!!


আগে জঙ্গীরা রাতের অন্ধকারে পুলিশের গুলিতে নিহত হতো। যেদিন থেকে আমরা প্রশ্ন করলাম - কেন জঙ্গীদের জীবিত ধরা হচ্ছে না, সেদিন থেকে সব জঙ্গীরা আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হতে লাগল।
তারপর যখন সেই নিহত জঙ্গীর আসল পরিচয় ও অতীত আমরা উদ্ঘাটন করতে চাইলাম, সেদিন থেকে তাদের চেহারা এতই বিকৃত হতে শুরু করল যে, তাদের পরিচয় সনাক্ত করা কঠিন হয়ে গেল। সাংবাদিকরা নিহতদের ছবিও প্রকাশ করতে পারল না। অন্যান্য রাষ্ট্রের জঙ্গীরা ঘরের বাহিরে যুদ্ধ করে। কেউ কোমরে কিংবা গাড়িতে বোমা নিয়ে জনবহুল এলাকা, সেনা/পুলিশ ঘাঁটিতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটায়। আর আমাদের দেশের জঙ্গীরা নিজের ঘরে নিজের ছোট বাচ্চা স্ত্রীসহ নিজেরাই মরে যাচ্ছে।

পৃথিবীর কোন দেশে এমন আজব জঙ্গী আছে কিনা খোঁজ নিয়ে দেখেন। যত বড় জঙ্গীই হোক না কেন নিজের পরিবারে বোমা সরঞ্জাম রাখবে কেন? যখন আমরা প্রশ্ন করলাম জঙ্গীরা সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত গ্রেনেড পেল কিভাবে?
তখন উত্তর আসল, তারা সেনাবাহিনীর ছোঁড়া গ্রেনেড ক্যাচ ধরে সেটা আবার ছুঁড়ে মেরেছে। জনগণ কি চদু নাকি যে এধরনের আজগুবি কথা বিশ্বাস করবে...। আমাদের সবচেয়ে এলিট ফোর্স সোয়াতকে বলেন তো ছোঁড়া গ্রেনেড ক্যাচ ধরে আবার ছুঁড়ে দেখাতে পারবে কিনা? হলিউডের টোয়াইলাইট মুভিতে ভাম্পায়ার নিয়ে কহিনী সাজিয়েছে, আর বাংলার টোয়াইলাইটও এক ভাম্পারনীর রচিত কাহিনী।
এই সেনা অভিযানের সময় সারাদেশের অন্যান্য জঙ্গীরা চুপ করে বসে থাকল কেন? তাদের সঙ্গীরাও তো এই যুদ্ধে শরীক হয়ে শহীদ হওয়ার সূবর্ন সুযোগ নিতে পারত। নিজে নিজে আত্মহত্যা করে শহীদ হওয়া আর শত্রুর গুলিতে শহীদ হওয়া কোনটায় বেশী সওয়াব মনে করে জঙ্গীরা? অবশ্যই শত্রুর গুলি। তাহলে কেন তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করল? যখন সিলেটে এত আলোচিত জঙ্গী অভিযান চলছে, তখন কেন পার্শ্ববর্তী জেলার জঙ্গীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে নিজেদের ডেরায় আরমছে ঘুমিয়ে থাকল?? কে দেবে এসব প্রশ্নের উত্তর???
দোহাই লাগে, এই ভয়ঙ্কর খেলা বন্ধ করুন। দেশ বিধ্বংসী এই ষড়যন্ত্র থেকে সরে আসুন। নইলে নিজেদের খোঁড়া গর্তে একদিন নিজেরাই পড়বেন। সেদিন চিৎকার করলেও বাঁচানোর কেউ থাকবে না।

আবুল বাসার মানিক 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads