দেশে খাদ্যের মজুদ যে কমতে কমতে অত্যন্ত আশংকাজনক পর্যায়ে নেমে এসেছে- এ সম্পর্কে জানানো হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে পরিসংখ্যানসহ একথাও জানানো হয়েছে যে, মজুদ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে এবং দেশ এখন মারাত্মক খাদ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একই সঙ্গে আশা ও ধারণা করা হয়েছিল, সরকার নিশ্চয়ই বিষয়টির প্রতি যথোচিত গুরুত্ব দেবে এবং পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে শস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত রাখা ছাড়া আর কোনো প্রচেষ্টাই লক্ষ্য করা যায়নি। সরকার এমনকি লাভজনক তথা আকর্ষণীয় মূল্য দিয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সম্প্রতি ওঠানো বোরো ধান সংগ্রহের জন্যও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে লাভজনক মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা গ্রামীণ মহাজন এবং মিলারদের কাছেই সব ধান বিক্রি করেছে। সীমান্ত দিয়েও পাচার হয়ে গেছে হাজার হাজার মণ ধান। সব মিলিয়েই সরকারি গুদামের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। এক মণ ধানও গুদামে আসেনি। সর্বশেষ বুধবার প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, চালের মজুদ এক লাখ ৮০ হাজার ৯১ টনে এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশে কম পক্ষে ১০ লাখ টন খাদ্যের মজুদ থাকা জরুরি। গত বছরের ৩০ এপ্রিলও সরকারি গুদামগুলোতে চাল ও গমের মজুদ ছিল ১০ লাখ ২২ হাজার টনের বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের একই সময়ে মজুদের পরিমাণ কমতে কমতে প্রথমে চার লাখ ৭৭ হাজার টনে নেমে এসেছিল। সরকার তখনও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। যার ফলে মজুদ নেমে এসেছে মাত্র এক লাখ ৮০ হাজার ৯১ টনে।
এমন অবস্থার কারণ হিসেবে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতি উপেক্ষা দেখিয়েছেন বলেই নাকি মজুদ কমে গেছে। সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর যুক্তি দেখিয়ে কর্মকর্তারা নাকি খাদ্যের আপৎকালীন মজুদ থেকেও সাড়ে সাত লাখ টন চাল বের করে এনেছেন। ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা ছাড়াও ওই সব চাল ভিজিএফ এবং ওএমএস ও কাবিখা ধরনের কিছু অপরিকল্পিত কর্মসূচিতে বিলি-বন্টন করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকার দলীয় নেতা-কর্মী ও মধ্যস্বত্ত্বভোগী টাউট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন বা দ্বিতীয় কোনো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাওর অঞ্চলের আকস্মিক বন্যা। ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে সুনামগঞ্জের ছয়টি উপজেলার সম্পূর্ণ ফসল পচে গেছে। দেশের অন্যসব এলাকাতেও বোরোর আবাদ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও কৃষকদের লাভজনক মূল্য দেয়া হলে তারা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হয়ে উঠতো। এর ফলে সরকারি গুদামগুলো অনেকাংশে পূর্ণ হতে পারতো। অন্তত এখনকার মতো ভয়ংকর বিপদে পড়তে হতো না।
কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগই সরকারের পক্ষে নেয়া হয়নি। তাছাড়া চাল আমদানির ব্যাপারেও সরকারকে তৎপর হতে দেখা যায়নি। আমদানির নীতি-কৌশল নির্ধারণ করার নামে আসলে একটি ব্যাপারেই কর্তা ব্যক্তিরা বেশি ব্যস্ত থেকেছেনÑ আমদানির সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব যাতে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হাতে থাকে। এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে সরকার। ওদিকে পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি রেখেছে অতি মুনাফাখোর টাউট ব্যবসায়ীরা, যাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের দহরম-মহরম রয়েছে। চাল সহজে আমদানি করা হচ্ছে না মর্মে নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই টাউট ব্যবসায়ীরা রাতারাতি চালের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। ফলে পবিত্র রমযান শুরু হতে না হতেই সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে গেছে পাঁচ-সাত থেকে ১০-১৫, এমনকি ২০-২৫ টাকা পর্যন্তও। এখনো চালের দাম শুধু বাড়ছেই। অন্যদিকে চার থেকে ছয় লাখ টন পর্যন্ত চাল আমদানি করার কথা শোনানো হলেও তার কোনো শুভ প্রভাব পড়ছে না বাজারের ওপর। একই কারণে একদিকে মজুদের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, অন্যদিকে চালের দাম কমবে বলেও আশা করা যাচ্ছে না।
বলার অপেক্ষা রাখে না, খাদ্য মজুদের বর্তমান অবস্থার জন্য সরকারের পক্ষে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, শিল্পায়নসহ বাস্তবসম্মত বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের আয়-রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা চালানোর পরিবর্তে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির পাশাপাশি কাবিখা, ওএমএস ও ভিজিএফ ধরনের এমন কিছু কর্মসূচি সরকার গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, যেগুলোর কারণে খাদ্যের মজুদই শুধু কমেছে। ধান-চাল সংগ্রহ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্যও সরকারকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। চাল আমদানির ব্যাপারেও একই কথা সত্য। এসবই দেশের জন্য ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। এমন অবস্থার সুযোগ নিয়েই ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছভাবে দাম বাড়িয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, বিশেষজ্ঞদের অনেকে এমনকি দুর্ভিক্ষের আশংকাও প্রকাশ করেছেন। বাস্তবেও অত্যধিক এবং অনিয়ন্ত্রিত দামের কারণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। দেশে চাকরির সুযোগ নেই, হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম চলে গেছে মানুষের নাগালের অনেক বাইরে। কিন্তু সরকার এখনো ভুল ও বানোয়াট তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আমরা মনে করি, সত্য এড়ানোর পরিবর্তে সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে প্রায় নিশ্চিত দুর্ভিক্ষের কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নেয়া। এ লক্ষ্যে দলীয় লোকজনকে দিয়ে খাদ্য আমদানি করালে এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও টাউট ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলে চলবে না, অত্যধিক গুরুত্বের সঙ্গে লাভজনক মূল্য দিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান কেনার পদক্ষেপ নিতে হবে। টাউট ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে চালের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। এভাবে খাদ্যের মজুদ বাড়ানোও সম্ভব বলে আমরা মনে করি।
ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে লাভজনক মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা গ্রামীণ মহাজন এবং মিলারদের কাছেই সব ধান বিক্রি করেছে। সীমান্ত দিয়েও পাচার হয়ে গেছে হাজার হাজার মণ ধান। সব মিলিয়েই সরকারি গুদামের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। এক মণ ধানও গুদামে আসেনি। সর্বশেষ বুধবার প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, চালের মজুদ এক লাখ ৮০ হাজার ৯১ টনে এসে দাঁড়িয়েছে। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চিহ্নিত বাংলাদেশে কম পক্ষে ১০ লাখ টন খাদ্যের মজুদ থাকা জরুরি। গত বছরের ৩০ এপ্রিলও সরকারি গুদামগুলোতে চাল ও গমের মজুদ ছিল ১০ লাখ ২২ হাজার টনের বেশি। অন্যদিকে চলতি বছরের একই সময়ে মজুদের পরিমাণ কমতে কমতে প্রথমে চার লাখ ৭৭ হাজার টনে নেমে এসেছিল। সরকার তখনও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। যার ফলে মজুদ নেমে এসেছে মাত্র এক লাখ ৮০ হাজার ৯১ টনে।
এমন অবস্থার কারণ হিসেবে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং দফতর-অধিদফতরের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রতি উপেক্ষা দেখিয়েছেন বলেই নাকি মজুদ কমে গেছে। সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর যুক্তি দেখিয়ে কর্মকর্তারা নাকি খাদ্যের আপৎকালীন মজুদ থেকেও সাড়ে সাত লাখ টন চাল বের করে এনেছেন। ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা ছাড়াও ওই সব চাল ভিজিএফ এবং ওএমএস ও কাবিখা ধরনের কিছু অপরিকল্পিত কর্মসূচিতে বিলি-বন্টন করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সরকার দলীয় নেতা-কর্মী ও মধ্যস্বত্ত্বভোগী টাউট ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আমন বা দ্বিতীয় কোনো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এসবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাওর অঞ্চলের আকস্মিক বন্যা। ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢলে সুনামগঞ্জের ছয়টি উপজেলার সম্পূর্ণ ফসল পচে গেছে। দেশের অন্যসব এলাকাতেও বোরোর আবাদ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তা সত্ত্বেও কৃষকদের লাভজনক মূল্য দেয়া হলে তারা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে আগ্রহী হয়ে উঠতো। এর ফলে সরকারি গুদামগুলো অনেকাংশে পূর্ণ হতে পারতো। অন্তত এখনকার মতো ভয়ংকর বিপদে পড়তে হতো না।
কিন্তু তেমন কোনো উদ্যোগই সরকারের পক্ষে নেয়া হয়নি। তাছাড়া চাল আমদানির ব্যাপারেও সরকারকে তৎপর হতে দেখা যায়নি। আমদানির নীতি-কৌশল নির্ধারণ করার নামে আসলে একটি ব্যাপারেই কর্তা ব্যক্তিরা বেশি ব্যস্ত থেকেছেনÑ আমদানির সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব যাতে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের হাতে থাকে। এর ফলে আমদানির ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়েছে সরকার। ওদিকে পরিস্থিতির প্রতি দৃষ্টি রেখেছে অতি মুনাফাখোর টাউট ব্যবসায়ীরা, যাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের দহরম-মহরম রয়েছে। চাল সহজে আমদানি করা হচ্ছে না মর্মে নিশ্চিত হওয়ার পরই ওই টাউট ব্যবসায়ীরা রাতারাতি চালের দাম বাড়াতে শুরু করেছে। ফলে পবিত্র রমযান শুরু হতে না হতেই সব ধরনের চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়ে গেছে পাঁচ-সাত থেকে ১০-১৫, এমনকি ২০-২৫ টাকা পর্যন্তও। এখনো চালের দাম শুধু বাড়ছেই। অন্যদিকে চার থেকে ছয় লাখ টন পর্যন্ত চাল আমদানি করার কথা শোনানো হলেও তার কোনো শুভ প্রভাব পড়ছে না বাজারের ওপর। একই কারণে একদিকে মজুদের পরিমাণ বাড়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না, অন্যদিকে চালের দাম কমবে বলেও আশা করা যাচ্ছে না।
বলার অপেক্ষা রাখে না, খাদ্য মজুদের বর্তমান অবস্থার জন্য সরকারের পক্ষে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ, শিল্পায়নসহ বাস্তবসম্মত বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের আয়-রোজগার বাড়ানোর চেষ্টা চালানোর পরিবর্তে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির পাশাপাশি কাবিখা, ওএমএস ও ভিজিএফ ধরনের এমন কিছু কর্মসূচি সরকার গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে, যেগুলোর কারণে খাদ্যের মজুদই শুধু কমেছে। ধান-চাল সংগ্রহ এবং বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্যও সরকারকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। চাল আমদানির ব্যাপারেও একই কথা সত্য। এসবই দেশের জন্য ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। এমন অবস্থার সুযোগ নিয়েই ব্যবসায়ীরা যথেচ্ছভাবে দাম বাড়িয়ে চলেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির এতটাই অবনতি ঘটেছে যে, বিশেষজ্ঞদের অনেকে এমনকি দুর্ভিক্ষের আশংকাও প্রকাশ করেছেন। বাস্তবেও অত্যধিক এবং অনিয়ন্ত্রিত দামের কারণে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পারছে না। দেশে চাকরির সুযোগ নেই, হু হু করে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে চলেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম চলে গেছে মানুষের নাগালের অনেক বাইরে। কিন্তু সরকার এখনো ভুল ও বানোয়াট তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
আমরা মনে করি, সত্য এড়ানোর পরিবর্তে সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে প্রায় নিশ্চিত দুর্ভিক্ষের কবল থেকে দেশকে বাঁচানোর পদক্ষেপ নেয়া। এ লক্ষ্যে দলীয় লোকজনকে দিয়ে খাদ্য আমদানি করালে এবং মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও টাউট ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিলে চলবে না, অত্যধিক গুরুত্বের সঙ্গে লাভজনক মূল্য দিয়ে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান কেনার পদক্ষেপ নিতে হবে। টাউট ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে বাজারও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে চালের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। এভাবে খাদ্যের মজুদ বাড়ানোও সম্ভব বলে আমরা মনে করি।