শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৪

হাছিনা জয়ের পুকুর চুরি , লতিফের বাটপারি নাটক ।

কৃতজ্ঞতায়- কামরুল ইসলাম ভাই 
ইসলামের অবমাননা নয়, এমনকি হাসিনা-পুত্রকে ছোট করার জন্যও নয়, বরং ২৫ মিলিয়ন ডলারের কমিশন ভাগ নিয়ে লতিফ সিদ্দিকীর চাকরি যাচ্ছে!

সূত্র জানাচ্ছে, ঘটনা মেক্সিকোর। কার্লোস স্লিম হেলু মেক্সিকান টেলিকমুনিকেশন ব্যাবসায়ী হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী, যদিও ২০১০ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের সেরা ধনী। লেবানিজ বংশোদ্ভুত কার্লোস মেক্সিকোর সবেচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানী Telmex, Telcel এবং América Móvil এর সিইও। মনোপলি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মেক্সিকো সরকার সম্প্রতি এক আইন করেছে, যার ফলে বড় বড় কোম্পানী ভেঙ্গে দিতে হবে, অথবা অন্য কোথাও অর্থ লগ্নি করতে হবে। দু’নম্বরী বেশী আছে এমন একটা দেশে বিনিয়োগ করার জন্য বাংলাদেশের নাম আসে কার্লোসের কাছে। জানতে পারেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ই হচ্ছে ওই কাজ দেয়ার যোগ্য ব্যক্তি। যোগাযোগ করলে জয় ব্যবসা করতে দিতে রাজী, তবে তার জন্য গুণতে হবে কমিশন। কার্লোস তাতেই রাজী হয়। ফান্ড ট্রান্সফার এবং গোপন চুক্তি চুড়ান্ত করতে আইসিটি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীকে যেতে হবে মেক্সিকো। আর এটাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য হাসিনার জাতিসংঘ সফরসঙ্গী না হয়েও লতিফ-পলক আমেরিকা হয়ে মেক্সিকো যাবে। সতর্কতার জন্য লতিফের সাথে পলককে দিয়ে দেয় জয়। আর ঐ সফরের উছিলা হিসাবে কার্লোস একটা ভুয়া আইটি পদকের ব্যবস্থা করে মেক্সিকোতে।

আবদুল নিউইয়র্কে থেকেই কার্লোসের সাথে যোগাযোগ করে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে যায় লতিফ সিদ্দিকীর নির্দিষ্ট কয়েকটি একাউন্টে। এরপরেই লতিফ সিদ্দিকী মাথা ঠিক করে ফেলেন, এবং টাঙ্গাইল সমিতির বৈঠকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস না করলেও লতিফ সিদ্দিকী একা একাই কথা বলে ফেলেন হজ্জের বিরুদ্ধে, ইসলামের বিরুদ্ধে, এমনকি রসুল (সঃ)কে অবমাননাকর উক্তি। এমনকি হাসিনার ছেলে জয়কেও একটু ছুয়ে দেন। উদ্দেশ্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের দাওটা মেরে দেয়া, এবং অতপর আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার ক্ষেত্র তৈরী করা। এর আগেও আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও পাননি তিনি। এবারের ঘটনার প্রস্ততি হিসাবে লতিফ সিদ্দিকী তার ২ মেয়ে নন্দিনী ও রায়না ফারজিন প্রীতু, এবং পুত্র অনীক সিদ্দিকীকে আগেই পার করে দেন কানাডায়। অন্যদিকে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীকে সাথেই নেন। অতি বিশ্বস্ত সোর্স মারফত লতিফ সিদ্দিকী আগেই জানতে পেরেছেন, নভেম্বরে হাসিনার খেল খতম হয়ে যাবে। অন্যরা পালাতে পারলেও হাসিনা সে সুযোগ নাও পেতে পারে। কাজেই শেষ সময়ে লতিফ সিদ্দিকী ২৫ মিলিয়ন ডলার ছাড়বেন কেনো?

নিইইয়র্কে লতিফ কান্ড ঘটনার পরে হাসিনার কাছ থেকে যে রকম রিঅ্যাকশন আসার কথা, তেমনটা আসেনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরার পরে (সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা বলে, লতিফ সিদ্দিকীকে পদত্যাগ করতে বলবে। পথে লন্ডনে থেকে ব্যক্তিগত সময়ে লতিফের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, আর সে কারনেই হাসিনা লন্ডনে কোনো কথা বরৈনি। এর কারন হচ্ছে, লতিফ সিদ্দিকী ইতোমধ্যে হাসিনাকে হুমকি দিয়েছে, বেশী বাড়াবাড়ি করলে ভিওআইপি খাত থেকে জয় যেভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে, সে দুর্নীতির কথা ফাঁস করে দেবেন। আর এটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য লতিফ সিদ্দীকি নিউইয়র্কে একটা ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রকাশ করে দেন, হাসিনার উপদেষ্টা বাবদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রতিমাসে ২ লাখ ডলার বেতন দিয়েছেন লতিফ সিদ্দিকী নিজেই। কমিশন মেরে দেওয়া এবং সরকারের নেয়া ব্যবস্থা ঠেকাতে লতিফ সিদ্দিকী বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি তার পূর্বসূরি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজূর শিক্ষা থেকে শিখেছেন। ২০১১ সালের ১ নভেম্বর নরসিংদীর জনপ্রিয় পৌর মেয়র লোকমান হোসেন হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে টিএন্ডটি মন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুকে বিচার করতে পারেননি হাসিনা, কারন রাজু হুমকি দিয়েছিল, জয়ের ভিওআইপি দুর্নীতির খবর ফাঁস করে দিবেন। এতে হাসিনা কুচকে যায়, ফলে রাজুকে শ্রম মন্ত্রনালয়ে বাকী সময় মন্ত্রী রাখা হয়।

লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রী থেকে বাদ দেয়া হবে, আ’লীগ থেকে বহিস্কার করা হবে, পুরেনো দুর্নীতির জন্য ৫০টি মামলা করবে সরকার ইত্যকার চাপের বিপরীতে জয়ের দুর্নীতির খবর ফাঁস করে দিয়ে হাসিনা-জয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধরে টান দিয়েছেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। দেন দরবার করে জয় চাচ্ছে লতিফ সিদ্দিকীর কাছ থেকে ২৫ মিলিয়নের ভাগ নিতে, আর সিদ্দিকী চাচ্ছে নিজের সবকিছু ঠিক রাখতে। ২০১৪ সালে সরকার গঠনের সময় এ জন্য জয় বলেছিল, “মা, আইসিটিতে অনেক টাকার খেলা হবে, এখানে বিশ্বস্ত লোককে মন্ত্রী দাও।” ২০০৭-৮এর চরম দুঃসময়ে লতিফ সিদ্দিকীর বিশ্বস্ততার কথা খেয়াল করে হাসিনা তাকে আইসিটি মন্ত্রী করেন, আর জয় নিজে সেখানে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেন তার পছন্দের পলককে। কিন্তু লতিফ সিদ্দিকী প্রমান করে দিল- হারামের কোনো আরাম নাই--টাকা পয়সার কাছে কোনো বিশ্বাসই কাজে লাগে না। কানাডা নিয়ে যত গল্প থাকুক না কেনো, লতিফ সিদ্দিকী ইতোমধ্যেই সস্ত্রীক রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন দখিল করেছে, নিউইয়র্কে। লতিফের চাকরি নাও যেতে পারে, অজুহাত হিসাবে বলা হতে পারে মৌলবাদীদের ভয়ে সে পলাতক, তাই তাকে পদত্যাগের অনুরোধ করা যাচ্ছে না। পাওয়া গেলেই তাকে পদচ্যুত করা হবে। মোট কথা টাইম কিলিং এন্ড হিলিং!

দেখা যাক কিভাবে ঠেলা সামলায় ডাইনীটা!

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads