মঙ্গলবার, ১৭ মে, ২০১৬

কামদা প্রসাদের কেরামতি


এক.
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : গত ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের সুরক্ষিত এলাকায় খুন হয়েছেন ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্সের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু। তনুর বাবা ইয়াজ হোসেন সেনানিবাসে ছোট বেসামরিক চাকরি করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন সেনানিবাসের ভেতরেই। তনু তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরেই সার্জেন্ট জাহিদ ও সিপাহী জাহিদের বাসায় টিউশনি করতেন। ২০ মার্চ সন্ধ্যায় সার্জেন্ট জাহিদ টিউশনির কথা বলে তনুকে সালমা আক্তার নামের একটি মেয়েকে দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তনুদের বাসার কাছে একটি ঝোপের মধ্যে তনুর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায় রাত সাড়ে দশটায়। তনুকে খুঁজতে বেরিয়ে তার বাবা ইয়াজ হোসেন লাশ দেখতে পান। সারা শরীরে জখম। সালোয়ার কামিজ ছেঁড়া, অর্ধনগ্ন। নাকে-কানে রক্তের ধারা। মাথা পেছন দিক থেকে থেতলানো। কেটে দেওয়া হয়েছে তার লম্বা চুলের গোছা। রাতেই তাকে অন্য লোকের সহযোগিতায় ইয়াজ হোসেন নিয়ে যান সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। সেখানে তনুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করার পর তার লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহার কেরামতি এখান থেকে শুরু। তনুর ময়না তদন্তের দায়িত্ব তিনি দেন হাসপাতালের সবচেয়ে জুনিয়র এক লেকচারার শারমিন সুলতানাকে। পরে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, এ বিষয়ে ডা. শারমিনের অভিজ্ঞতার ঘাটতি ছিল। সে ময়না তদন্ত রিপোর্টে শারমিন লেখেন যে, ‘মৃত্যুর আগে তনুকে জবরদস্তিমূলকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি গর্ভবতীও ছিলেন না। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা সম্ভব হলো না।’ কামদা প্রসাদ গভীর আত্মপ্রসাদ নিয়ে এই রিপোর্ট মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করলেন।
সংশয় হয়, এই কামদা প্রসাদ সাহা আসলেই কোনো ডাক্তার কিনা। কোনো মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি পাস করে বেরিয়েছেন কিনা। তা না হলে, এই রিপোর্ট হাতে পেয়ে তার তো সন্দেহ হওয়া উচিত ছিল। রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করে ভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল তার। একজন জ্বলজ্যান্ত প্রাণবন্ত তরুণী খুন হয়ে গেল, অথচ ময়না তদন্ত রিপোর্টে তার কোনো কারণই পাওয়া গেল না। তাহলে তনুর কানে-নাকে রক্তের দাগ ছিল কেনো? কামদা প্রসাদ বললেন, পোকায় কামড়েছে। অথচ তনুর বাবা দেখেছেন, তনুর মাথা পেছন দিক থেকে থেতলানো। কেউ তার মাথা দেওয়ালে বা ওরকম কোনো শক্ত স্থানে জোরে জোরে ঠুকেছে। তার শরীর জুড়ে ছিল আঘাতের চিহ্ন। তনুর বাবা নিজ চোখে দেখেছেন। এ নিয়ে আর কথা বলতে চাননি কামদা প্রসাদ।
তারপর আরও নানা আজব কাণ্ড ঘটিয়েছেন এই কামদা প্রসাদ। আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ তনুর লাশ আবারও ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়। ততোদিনে তনু হত্যার বিচার দাবিতে সারা দেশে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকেরা বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। এবং আশ্চর্য ঘটনা হলো এই যে, দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্টর্টি তৈরি করার ভার পড়ল ঐ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের হাতেই। আর আবারও দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করতে যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো, তারও প্রধান হলেন ঐ কামদা প্রসাদ সাহাই। কমিটিতে আরও আছেন গাইনি বিভাগের প্রধান করুণা রানী কর্মকার ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ওমর ফারুক।
সে দায়িত্ব হাতে পেয়েই কামদা প্রসাদ নানান এলোমেলো বকতে শুরু করলেন। বললেন, দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্ট থেকেও কোনো আলামত পাওয়া যাবে না। যা আলামত ছিলো, তা গোসল করানোর সময় ও লাশ পচে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে। তাই দাফনের (মাত্র) ১০ দিন পরে কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার এ কথা থেকেও প্রমাণিত হয় যে, চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কে তার ধারণা মোটেও স্বচ্ছ নয়। কারণ এর আগেও ধর্ষণের শিকার এক মেয়ের দাফনের ২৬ দিন পর লাশ তুলে দ্বিতীয় ময়না তদন্তের পর এই বাংলাদেশেই ধর্ষণের আলামত পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করা হয়েছিল অধিকতর যন্ত্র্রপাতি ও দক্ষ চিকিৎসকদের দ্বারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, কোন যোগ্যতা বলে কামদা প্রসাদকে ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মতো একটি স্পর্শকাতর বিভাগের প্রধান করা হয়েছে? তা কি তিনি শুধু সংখ্যালঘু বলে? এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাও হত্যাকাণ্ডের পর বলেছিলেন যে, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় মনে হয়, তনুকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু কামদা প্রসাদ ময়না তদন্তের আগেই রায় দিয়ে বসেন যে, কোনো আলামত পাওয়া সম্ভব নয়। যে নাদান ব্যক্তি একবার বলে দিয়েছেন, মৃত্যুর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, সে ব্যক্তি কি করে দ্বিতীয়বার বলবে যে, এবার কারণ খুঁজে পেয়েছি। এমন হাস্যকর উদ্যোগ যারা নিয়েছে, তাদের মতলব বোঝা খুব কঠিন হবার কথা নয়।
দ্বিতীয় ময়না তদন্ত হয়েছে দেড় মাস আগে। কিন্তু কামদা প্রসাদ সে রিপোর্ট আগলে রেখেছেন। নানা টালবাহানা করে এখন পর্যন্ত তা জমা দেননি। সাংবাদিকদের তিনি বারবার বলেছেন, ‘এর বেশি আর কিছু বলা যাবে না।’ শীগগীরই রিপোর্ট দেয়া হবে। এটা চিকিৎসকের ভাষা নয়। বর্তমান সময়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষার মতো : ‘তদন্তের স্বার্থে এর বেশি আর কিছু বলা যাবে না।’ কিন্তু কামদা ভুলেই গেছেন যে, তিনি পুলিশ নন, চিকিৎসক। তবু শেষ পর্যন্ত গত ১৪ মে তিনি সাংবাদিকদের সামনে কথা বলতে এসেছিলেন। দেড় মাস চলে যাবার পরও দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্ট কামদা প্রকাশ না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছে সিআইডি। তারা বলেছেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কামদা রহস্যময় ভূমিকা পালন করছেন। আর দেশের সর্বস্তরের মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।
সে প্রেক্ষিতে গত শনিবার কামদা প্রসাদ গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে বলেন, ময়না তদন্তের জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয় নিয়ে শনিবার দুপুরে পর্যালোচনা সভা করেছে। সভায় বোর্ডের তিন সদস্যই শীগগীর প্রতিবেদন প্রকাশের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। শীগগীর বলতে কতো দিনের মধ্যে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কামদা প্রসাদ বলেন, দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। আমরা প্রতিবেদনটা দিয়ে দেব। এর পরদিনই তিনি আর এক আজব কা- করেছেন। আর তা হলো, তনুর ডিএনএ রিপোর্ট চেয়ে তিনি আদালতের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এর আগে তিনি ঐ রিপোর্ট চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সিআইডিকে। সিআইডি বলেছে, ময়না তদন্তের সঙ্গে ডিএনএ রিপোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। আর সে রিপোর্ট তারা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আদালতেই জমা দিয়েছেন। দরকার হলে কামদা সেখান থেকে নিতে পারেন।
এখানেও নতুন রহস্য সৃষ্টি করেছেন কামদা প্রসাদ সাহা। তিনি ভাবছেন, ময়না তদন্তে যাই পাওয়া যাক না কেন, সে রিপোর্টের সঙ্গে যেন ডিএনএ রিপোর্টের কোনো অসঙ্গতি না থাকে। আর তাই এটাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ঐ রিপোর্টের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে নানা টালবাহানা করে ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশে কামদা প্রসাদ আবারও বিলম্ব করবেন।
দুই.
এদিকে এক সহযোগী খবর দিয়েছে, সিআইডির তদন্ত দল নিশ্চিত হয়েছে যে, তনুর মৃতদেহ যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে তাকে হত্যা করা হয় নাই। অন্যত্র হত্যা করে তার লাশ এনে জঙ্গলে ফেলা হয়েছে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে সিআইডির তদন্ত দল। তনুর মাও এর আগে অভিযোগ করেন যে, তনুকে অন্য কোথাও হত্যা করে একাধিক লোক গাড়িতে করে এনে তাদের বাসার পাশে জঙ্গলে ফেলে গেছে। একজনের পক্ষে তার লাশ টেনে নিয়ে আসা সম্ভব নয়। সম্ভবত তার লাশ নিয়ে আসা হয়েছিল কোনো গাড়িত করে। ফলে এ হত্যাকাণ্ডে বেশ কয়েকজন জড়িত। সিআইডি বলেছে, সম্ভাব্য কে বা কারা লাশ এনে জঙ্গলে ফেলেছে, সে বিষয়ে সিআইডির ধারণা রয়েছে। তবে কোথায় তনুকে হত্যা করা হয়েছে তা তাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়। সে জন্য অধিকতর তদন্ত চলছে। তারা বলেছেন, যদি ঘটনাটি সেনানিবাসের মতো স্পর্শকাতর স্থানে না ঘটতো, তাহলে ইতিমধ্যে একটি ভাল রেজাল্ট দেয়া সম্ভব হতো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইডির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, আপনারা কি মনে করেন তনু হত্যার বিষয়ে কাউকে গ্রেফতার বা আটক করার বিষয়ে আমাদের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই? আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসি বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা রহস্যময় ভূমিকা পালন করছেন। তিনি দ্বিতীয় ময়না তদন্ত রিপোর্ট নিয়ে গড়িমসি করছেন। রহস্যজনক কারণে তিনি রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন না। ওই কর্মকর্তা বলেন, কামদা নাকি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়া ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেবেন না। ময়না তদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে ডিএনএ রিপোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি তার অযথা কালক্ষেপণ ও হয়রানি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, ডা. কামদা প্রসাদ প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্টে কিছুই পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। এটা হতে পারে না। মৃত্যুর পর পরই তনুর ময়না তদন্ত হয়েছে। তারপরও তিনি বলেন, কিছুই পাননি, এটা অবিশ্বাস্য। এখানে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। সিআইডির ঐ কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প্রথম রিপোর্টে তিনি কিছুই দিতে পারেননি। কালক্ষেপণ না করে দ্বিতীয়টিতেও তিনি কেন বলে দিচ্ছেন না যে, তনুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রিপোর্ট যেমনই হোক, আমরা সেটি হাতে পেয়ে আমাদের গতিতে কাজ শুরু করি। তিনি বলেন, তনু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সিআইডি অনেক দূর এগিয়ে গেলেও প্রতিবেদন না পাওয়ায় তদন্ত কাজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সিআইডির একটি সূত্র জানায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ১০-১২ জন সেনা সদস্যকে সাক্ষ্য প্রমাণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিআইডি একটি তালিকা পাঠিয়েছে। তালিকা অনুযায়ী তাদের জিজ্ঞাসাবদের অনুমতিও দেয়া হয়েছে। তবে সেনানিবাসে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছে। সেনানিবাসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সিআইডি নিজেদের মতো করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না বলে তারা সন্ধিহান। সিআইডির ধারণা, এতে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
এর সব কিছুর পেছনেই সত্যি সত্যি কামদা প্রসাদের ভূমিকা রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। দ্বিতীয় দফায় ময়না তদন্তের রিপোর্টেও কামদা প্রসাদ যদি এরকম রিপোর্ট দেন যে, তনু হত্যার কোনো কারণ তারা অনুসন্ধান করে পাননি, তাহলে তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে কঠোর শাস্তির বিধান করা উচিত। কেননা, তার গাফিলতি, দায়িত্বে অবহেলা ও রহস্যজনক আচরণের কারণেই তনু হত্যার তদন্ত শেষ পর্যন্ত সেলফে উঠে যেতে পারে। তৃতীয় দফা ময়নাতদন্তে সত্যি সত্যি কোনোদিনই কোনো তথ্য পাওয়া যাবে না।
সর্বশেষ
তনু হত্যার ডিএনএ রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সংবাদপত্রগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যে, হত্যার আগে তনুকে অন্তত তিন ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল- এমন আলামত মিলেছে তার কাপড়ে। মিলছে তিন জনের বীর্য। কুমিল্লা সিআইডির বিশেষ সুপার নাজমুল করিম খান বলেছেন, ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার পর তারা এ ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত নিশ্চিত হতে আমরা ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকের (ডা. কামদা প্রসাদ সাহা) স্মরণাপণœ হয়েছিলাম। গোপনাঙ্গের ফ্লুইড আমাদের পরীক্ষাগারে পাঠানোর জন্য আমরা লিখিতভাবে তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। তারা আমাদের জানান, পরীক্ষায় তারা আলামত পাননি। সে কারণে নমুনা সংরক্ষণ করা হয়নি। তাই আমরা তনুর লাশে থাকা কাপড়-চোপড় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি’র পরীক্ষাগারে পাঠাই।’ আর তা থেকেই বেরিয়ে আসে এই তথ্য। দেখা যাক, এবার ‘ডাক্তার’ নামক এই কামদা প্রসাদ সাহা কী বলেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads