শনিবার, ১৪ মে, ২০১৬

ব্যর্থ তবে দায়ী নয়


ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী : সম্প্রতি মজার একটি ফরমায়েশি রিপোর্ট পড়লাম। আর তা হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা পাচার নিয়ে। ঢাকার কয়েকটি দৈনিক একযোগে সে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সে রিপোর্টের মাজেজা হলো, এই বিপুল অংকের টাকা চুরির সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের তেমন কেউ জড়িত নেই। এ জন্য যা কিছু দায় তার সবই নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও নিরাপত্তা কোম্পানি সুইফটের। আমার দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনে বহুবার আমি এ ধরনের ফরমায়েশি রিপোর্ট দেখেছি। এ রিপোর্টগুলো কখনও সরকারকে সমর্থন করে লেখা হয়। আবার কখনও বা সরকারের বিরোধিতা করার জন্য লেখা হয়। রিপোর্টগুলো পড়ে আমার শুধুই হাসির উদ্রেক হলো। তবু এর মধ্যে সারবত্তা যে কিছু ছিল না, এমন নয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই রিজার্ভ চুরির ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ ফেব্রুয়ারি। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। এই ভয়াবহ ঘটনা তিনি জানতে পারেন ৫ ফেব্রুয়ারি। তারপর শুরু হয় মূল নাটকের পালা। আতিউর নিজে জানার একদিন পর নাকি বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন। সম্ভবত তিনি জানিয়েছিলেন। কারণ প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এর কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টা নিয়ে চুপ করেই ছিলেন। সম্ভবত অথর্ব আতিউর তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, বেশি জানাজানি হলে এই অর্থ ফেরত পাবার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাবে। আর আতিউর এই টাকা চুরির বিষয়টা জানাননি অর্থমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রীও তাকে জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন অনুভব করেননি। ফলে অর্থমন্ত্রী মুহিত ছিলেন একেবারে অন্ধকারে।
গবর্নর আতিউর হয়তো বিষয়টা চিরতরে চেপেই যেতেন। কে খবর রাখতো যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে কত টাকা আছে বা ছিল, আর তা থেকে কত টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে পাচার হয়ে গেছে। এই টাকার বেশির ভাগই গিয়েছে ফিলিপিন্সে। এক মাস পরে ৫ মার্চ ফিলিপিন্সের সংবাদপত্রগুলোতে খবর বের হলো যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ টাকা ফিলিপিন্সে পাচার হয়ে এসেছে। এত ফিলিপিন্সে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়ে গেল। সেখানকার সংবাদপত্র, ব্যাংক পরিচালনা পরিষদ, জাতীয় সংসদ, বিচার বিভাগ একবারে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে বসলো। তদন্তে নেমে পড়লো এসব সংস্থা। তখন এক ধরনের সিন্ডিকেটেড রিপোর্ট প্রকাশ হতে থাকলো যে, চুরি যাওয়া টাকা থেকে বাংলাদেশ অত টাকা ফেরত পেয়েছে। আরও অত টাকা ফেরত পেয়েছে। শিগগিরই ফিরে পাওয়া যাবে চুরির সকল টাকাই, একেবারে পাই পয়সাসহ। এর লক্ষ্য ছিল জনগণকে একটা ধোঁকা দেয়া। একটা ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলা। যাতে তারা মনে করে যে, দেখো, সরকার কত দক্ষ, চুরির সব টাকাই ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে।
কিন্তু আসল খবর আসতেও দেরি হলো না। ফিলিপিন্সই খবর দিল, চুরির টাকার এক কানাকড়িও তারা ফেরত দেয়নি। আর তা ফেরত পেতে মামলা মোকদ্দমার মাধ্যমে যেতে হবে। ফলে বাংলাদেশ যদি ঐ টাকা কোনোদিন ফেরত পায়ও, তবে তাতেও কমপক্ষে ১৫/২০ বছর লাগবে। ফিলিপিন্সে অর্থ পাচার আইন খুব কড়া। আবার জুয়া খেলার আইন-কানুন বেশ শিথিল। সেখানকার ধনাঢ্য ক্যাসিনো ব্যবসায়ী মি. অং টাকাটা তুলেই জুয়ায় লাগিয়ে দেন। তিনি ধরা পড়ে গিয়ে কিছু টাকা সে দেশের সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেন বা গচ্ছিত রাখেন। বাকি টাকা চলে যায় হংকং-এ। আর হংকং কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা করতেই রাজি হননি। সমাজের ওপরের মহলে অং-এর রয়েছে ব্যাপক যোগাযোগ। তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী সবাই রয়েছেন। মি. অং তার বন্ধু হিসেবে যাদের নাম বলেছিলেন, তাদের মধ্যে আছেন ফিলিপিন্সের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে। ফলে ভবিষ্যতে এই টাকা ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হয়ে পড়লো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই চুরির টাকা নিয়ে যখন ফিলিপিন্সে তুমুল হৈচৈ বেধে গেল, তখন আমরা জানতে পারলাম, জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই বিপুল অংকের টাকা পাচার হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী আকাশ থেকে পড়লেন। দায়ী করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরকে। গবর্নর ‘বীরের মতো’ তার পদত্যাগপত্র জমা দিলেন অর্থমন্ত্রীর কাছে নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর কাছে। প্রধানমন্ত্রী তা গ্রহণও করলেন, আর আতিউরের বিদায়ে কাঁদলেন। আতিউর পদত্যাগপত্র কেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দিতে গেলেন, তার কোনো গ্রহণযোগ্য জবাব তিনি দিতে পারেননি। তারপর কেবল নাটকের পর নাটক চলছে। দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ অবিরাম বলে গেলেন যে, টাকা আমাদের। তোলপাড় উঠলো ফিলিপিন্সে। কিন্তু আমাদের সংসদ বা সংসদীয় কমিটি নিশ্চুপ বসে রইল। এই চুরি যাওয়া টাকা সম্পর্কে তারা কোনোরকম উচ্চবাচ্যই করেনি। অর্থমন্ত্রীর কাছে অবশ্য ৮শ’ কোটি টাকা কোনো টাকা হবারই কথা নয়। কারণ হলমার্ক যখন সোনালী ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়ে গেল, তখন তিনি বলে বসেছিলেন, ৪ হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই নয়। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ফোকলা করে টাকা চুরি করেছে সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো বেসিক ব্যাংক, বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর যোগসাজশে লোপাট হয়ে গেছে আরো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা। এভাবে অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকেও সরকারি মদদপুষ্ট লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে নিয়ে গেছে। 
সে তুলনায় ৮শ’ কোটি টাকার হয়তো আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে ধূলিকণা মাত্র। আমাদের সঙ্কটটা সেখানে নয়, ধূলিকণা চুরি হয়েছে কিনা তার চাইতেও বড় প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ফেডারেল ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে এই টাকা। লোপাটকারীরা ১০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ৮ হাজার কোটি টাকা চুরির আয়োজন করেছিল। কিন্তু ৮০০ কোটি টাকা হস্তান্তর হয়ে যাবার পর একটি বানান ভুলের কারণে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক টাকা প্রদান বন্ধ করে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাসওয়ার্ড দিয়ে নানা হাতের মাধ্যমে এই টাকা প্রদানের অর্ডার চলে গিয়েছিল ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে। সেখানে আমাদের রয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। বড় ঋণ শোধের ক্ষেত্রে এই টাকা নির্ধারিত পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবস্থায় পরিশোধ করা হয়। সঙ্কটটা সেখানেই। আমরা দোষারোপ পছন্দ করি। সেই কারণে নিজদের দায় না দেখে আমরা দোষ চাপানোর চেষ্টা করলাম সুইফট ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের ওপর। তারা তদন্তে এসেছিল, তদন্ত করে জানিয়ে গেছে, তাদের ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি নেই। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জানতে চেয়েছিল এই টাকা তারা পরিশোধ করবে কিনা। বাংলাদেশ ব্যাংক শুক্র-শনিবার বন্ধ থাকায় তারা তা জানাতেও পারেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওই ব্যাংক মৌনতাকে সম্মতির লক্ষণ বলে ধরে নিয়েছে। টাকা হস্তান্তর করেছে, যেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার নিরাপত্তার ব্যাপার সেখানে কেন ৩৬৫ দিন ২৪ ঘণ্টার নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে না। সেই রুমের সিসি ক্যামেরা ওই সময় বন্ধ ছিল। কেন বন্ধ ছিল আতিউর জবাব দিয়ে যাননি। বর্তমান গবর্নর ফজলে কবিরও সেটি অনুসন্ধান করতে আগ্রহী-এমনটা মনে হয় না। এরপর পাচারকারীরা টাকা প্রদানের অর্ডার সংবলিত বার্তা মুছে দিয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে যাচাইয়ের রেকর্ড মুছে দিয়েছে। সব কিছু বাদ দিলাম, কিন্তু সিসি ক্যামেরা নষ্ট কেন? তার জন্য তো বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারাই দায়ী। একথাটি স্বীকার করতেও দ্বিধা আছে সরকার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। 
সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ৩০ দিনের মধ্যে তাদের অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্ট দেয়ার কথা ছিল, রিপোর্ট তারা দিয়েছেন। ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়ার কথা। ফরাসউদ্দিন বলেছেন, তার আগেই তিনি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টে কি আছে সেটি তিনি প্রকাশ করেননি। শুধু স্মিত হাস্যে বলেছিলেন- সরকার এইটুকু আগে হজম করুক। সেজন্য তাদের কিছুটা সময় দিতে হবে। এটি তদন্ত করেছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। সে রকম গোয়েন্দা সংস্থার এক সহকারী হঠাৎ অপহৃত হয়ে যান। ৮-১০ দিন পর আবার পুলিশের লোকই তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। তাকে নাকি বিমানবন্দর রেল স্টেশনে মতো হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। তিনি প্রেসের সামনে আসেননি। সেই যে আড়াল হয়ে গেছেন, এখনও আড়ালেই আছেন। এই ঘটনার তদন্তে এসেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। তদন্ত শেষে তারাও বলে গেছেন, এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারাই দায়ী। সেটি বোধকরি সরকার মানতে নারাজ। আর তাই ফেডারেল রিজার্ভ, সুইফট ও এফবিআই’র বিরুদ্ধে তারা অবিরাম বিষোদগার করেছে। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ফজলে কবির ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। সেই সময়ই প্রকাশিত হচ্ছে সিন্ডিকেটেড রিপোর্টগুলো। পত্রিকা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাবেক গবর্নর আতিউর রহমানের ব্যর্থতা ছিল দু’টি। প্রথমটি হলো চুরি শনাক্ত করার পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক ম্যানুয়ালি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। দ্বিতীয় ভুলটি হলো টাকা চুরির খবর জানার পর তিনি যেসব ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তা ছিল অত্যন্ত দুর্বল। তদন্ত কমিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউকেই অভিযুক্ত করেনি। অন্তর্বর্তীকালীন রিপোর্টের বরাত দিয়ে সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে যে, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ড. আতিউরের দূরত্ব ছিল, তাদের মধ্যে  বোঝাপড়ার অভাব ছিল। অধস্তন কর্মকর্তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে না পারা ছিল গবর্নর আতিউরের আরেকটি ব্যর্থতা। এছাড়া একমাস ঘটনাটি লুকিয়ে রাখা আতিউরের গাফিলতি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই রিপোর্টে কারিগরি বা প্রযুক্তির চেয়ে প্রশাসনিক বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
এ নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর দেড় শতাধিক দেশ ফেডারেল রিজার্ভের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে থাকে। তাদের সবাই সুইফটের সেবাও গ্রহণ করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও এ রকম একটি ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের চাইতে অনেক বিপুল অংকের অর্থ কোনো কোনো দেশ ফেডারেলে জমা রাখে। চোরেরা সেখানে হাত দিতে সাহস পায়নি। কিন্তু এখানে বেড়ায় ক্ষেত খেয়ে ফেলেছে। সারা পৃথিবীর দেশসমূহে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। তারা অর্থের নিরাপত্তার বিষয়ে আরো সতর্কতা অবলম্বন করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট তাদের অবস্থানে অনড়ও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এফবিআই’র বরাত দিয়ে গত মঙ্গলবার এক রিপোর্টে বলেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত পাসওয়ার্ড দিয়ে হ্যাকাররা ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করেছে। ব্যাংকের এক কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী। সেভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ফিলিপিন্সে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যে চক্র এই কাজ করেছে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত আছে। এফবিআই’র তদন্ত দল দাবি করেছে, অন্তত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা এ কাজে জড়িত রয়েছে এমন কিছু বিশ্বস্ত তথ্য-প্রমাণ সংবলিত দলিল এফবিআই পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তাই হ্যাকারদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন। আর সুইফট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব নেবে না। 
আসলে এই ঘটনারও শেষ পর্যন্ত কোনো কিনারা হবে এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আতিউর ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের রক্ষায় বাংলাদেশের তদন্তকারীদের মরিয়া প্রচেষ্টার ফলে জনগণের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এর ফেছনে অন্য কারো হাত নেই তো? আতিউর ব্যর্থ, কিন্তু দোষী নয়- এ রকম রায় ভবিষ্যতেও এ খাতে আরও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads