সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

স্বাধীনতার ৪৩ বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি


১৯৭১ সাল একটি ইতিহাস; একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘ শোষণ-বঞ্চনার নাগপাশ থেকে মুক্তির তাড়নায় ছিনিয়ে আনা নির্মল সবুজ একটি ভূখণ্ড। শত চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের এ অর্জন। ৪৩ বছর একটি নবজন্মা দেশের জন্য খুব বেশি সময় না হলেও কম সময় নয়। এই ভূখণ্ডকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশার কমতি ছিল না; এখনো একবুক আশা বুকে চেপে বেঁচে থাকার সোনালী স্বপ্ন দেখে দেশের মানুষ। যদিও-বা এ দেশ বিশ্বদরবারে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলে পৃষ্ট হয়ে চলছে। নানা ধরনের ঘৃণ্যতর চক্রান্তের পদাঘাতে দেশ আক্রান্ত হলেও জনগণের দেশের প্রতি আকুণ্ঠ ভালোবাসা ও পরিশ্রম প্রিয়তার কারণে দেশ এখনো মেরুদ-হীন হয়নি। শাসক গোষ্ঠীরা ক্ষমতাকে দেশের উন্নয়নে ব্যবহার না করে নিজেদের আখের গোছানোর সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষ তাদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম দিয়ে তিলে তিলে দেশকে গড়তে নিরন্তর চেষ্টা চালাছে। বিচারের নামে অবিচার, ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতা আমাদের অস্তিত্বকে চুরমার করে দিয়ে এক নতুন প্রেতাত্মা জাতির ঘাড়ে ভর করেছে। এরপরও আমরা আশা নিয়ে বেঁচে থাকি, কারণ আমাদের তরুণরা মেধাবী ও সাহসী। তাদের যদি আজ সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়া যায়, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। মাথা উঁচু করে বিশ্বদরবারে স্থান করে নেবে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ।
আমাদের প্রত্যাশা : স্বাধীনতার মুক্তির সংগ্রামে যারা সেদিন অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের প্রত্যেকের তীব্র আকাক্সক্ষা ছিল আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম একটি বাংলাদেশ পাব। যেখানে কারো তাঁবেদারি থাকবে না। গড়ে উঠবে বৈষম্যহীন সুদৃঢ় ঐক্যের বাংলাদেশ। থাকবে না রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। থাকবে অর্থনৈতিক সুদৃঢ় ভিত্তি। মুক্তবাজার অর্থনীতিতে আমরাও এগিয়ে যাবে সমভাবে। সুসম্পর্ক থাকবে প্রতিবেশী দেশের সাথে, আমাদের কোনো বন্ধু অবয়বে শত্রু থাকবে না; এদেশের প্রতি থাকবে না খবরদারি; থাকবে শুধু বন্ধুত্ব ও পরস্পর সহযোগিতার সম্পর্ক।
আমাদের প্রাপ্তি : দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অনেক কিছু সাম্রাজ্যবাদীরা নিয়ে গেলেও আমরা একটি সমৃদ্ধ ভাষা পেয়েছি। যার অবস্থান পৃথিবীতে ষষ্ঠ। লাল-সবুজের এমন একটি পতাকা পেয়েছি, যে পতাকটি পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের পতাকার চেয়ে সুন্দর; যেমন সুন্দর এখানকার চোখজুড়ানো প্রাকৃতিক দৃশ্য। এমন একটি ভূখণ্ড পেয়েছি, যে ভূখ-টি এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিধি জুড়ে। পূর্বদিকে সুবিশাল বঙ্গোপসাগর, অন্য তিন দিকে ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত। জনসংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি মানুষের ১৪ কোটি হাত নিয়ে এর যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ছাড়িয়ে। এখানের মানুষরা অসম্ভব পরিশ্রম প্রিয়, অল্পে তুষ্ট। আমরা পেয়েছি একটি উর্বর ভূমি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখনো নিরাপদ নয় : ৪৩ বছর পরেও আমাদের ভাবতে (!) হয় আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। পার্শ্ব দেশের ফরমায়েশি দেশের জনগণকে বিষিয়ে তুলেছে। আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতি অলিখিতভাবে তাদের হাতে। প্রতিনিয়ত সীমান্তবর্তী মানুষের মৃত্যু যন্ত্রণায় প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিক দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ বন্ধুত্বের প্রশ্নে উত্তীর্ণ নয়। আমরা যেন স্বাধীন দেশের বন্দি নাগরিক। এমন পরিস্থিতিতে বারবার প্রশ্ন জাগে আমাদের কষ্টের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ফসল কি? এমন আচরণ নিশ্চয় কোনো প্রতিবেশী দেশের আচরণ হতে পারে না। আমাদের দেশ থেকে ওরা নেবে আর নেবে আমরা সব বিলিয়ে দেব- এ যেন মগের মুল্লুক, আমরা জীবিত থেকেও মৃত লাশ। আমরা এমন স্বাধীনতা চেয়েছিলাম যেখানে থাকবে না কোনো বঞ্চনা ও অধিকার আদায়ের পুন পুন আন্দোলন। আমরা চেয়েছিলাম হাত হাত রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার বাংলাদেশ। যে দেশটি বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে; প্রমাণ করবে আমরা সার্বভৌম আমরা স্বাধীন।
গণতন্ত্রের পরিবর্তে স্বৈরতন্ত্রের কবলে বাংলাদেশ : একটি দেশকে গণতন্ত্রের ফ্রেমে বন্দি করা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী দেশ সরকার বলা যায় কিন্তু বাস্তবতা এর পুরো উল্টো। আমাদের দেশের রাজণীতি রাজতন্ত্রের ফ্রেমে আবদ্ধ সেই সূচনালগ্ন থেকে। তীর্থের কাকের মতো দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে চেপে বসা নেতাদের পড়ন্ত বেলা কবে শেষ হবে? কবে যোগ্যতার ভিত্তিতে গণন্ত্রের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের পক্ষের ব্যক্তি সরকারে বা দলের কা-ারি হবে? যে নেতাদের দেশের মানুষ অভিশপ্ত করার পরিবর্তে ভালোবাস ও ভালো লাগার জায়গায় স্থান দেবে। শত্রু নয় বন্ধু হিসেবে সবাই সবার তরে দেশমাত্রিকার জন্য একযোগে কাজ করবে, এগিয়ে যাবে প্রিয় বাংলাদেশ। কে জানে- কখন এমন হবে? কখন আমরা বলব, এই আমাদের প্রিয় স্বপ্নের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কবলে দেশ : রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কথা অনেক দেশের মানুষ শোনেনি। কিন্তু আমাদের দেশ রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়েছে বহু আগে। এখানকার লোকেরা খুব রাজনীতি বোঝে! রাজনৈতিক ঝড়োহাওয়া সেই অজো পাড়া-গাঁয়ের চা দোকানের চায়ের কেঁটলি-কাপে ধোঁয়া তুলে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী হাইকমিশনার ডন ডব্লিউ মজিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের ডিএনএতে ও রাজনীতি পাওয়া যাবে! কথায় প্রচলিত আছে রাজনীতিবীদরা রাজনীতি বা দেশ চালান না; সাম্রাজ্যবাদীরাই দেশ চালান। অধিকাংশ রাজনীতিবীদ সাম্রাজ্যবাদীদের দোসর হয়ে কাজ করছে।
অনৈক্যের বাংলাদেশ : একটি জাতির জন্য ৪৩ বছর কম সময় নয়। আমাদের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশ যতটা না সামনে এগুচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পিছু হটছে। দেশে মীমাংসিত ইস্যুগুলোকে নিয়ে যারা পুনরায় দেশে বিভক্তির রেখা টেনে দিচ্ছে তারা মূলত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে দেশে নতুন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। একটি দেশ যখন স্বাধীনতা লাভ করে, তখন এর পক্ষ-বিপক্ষ মতের মানুষ থাকবে- এটি অতি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ এই অনৈক্য বিষফোঁড়ার মতো বিষবাষ্প ছড়াবে- এটি একটি দেশের জন্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত। একটি দেশ সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনৈক্য সবচেয়ে বড় অন্তরায়। আমরা আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গ নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারিনি। তিনি বিরোধী পক্ষের রোষানলে পড়ে ফ্যাসিস্ট রাজনীতির যাঁতাকলে ২৭ বছর কারাবরণ করেছিলেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিরোধী শিবিরকে ক্ষমা করে দিয়ে তিনি আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ লাভ করেন। বিশ্বব্যাপী দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ আমাদের দেশে মীমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক পতিপক্ষকে ঘায়েল করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য মৌলবাদী, রাজাকার, আলবদর, মানবতাবিরোধী অপরাধী নানাভাবে বিচারের নামে অবিচার শুরু করেছে। যে বিচার ব্যবস্থার অসচ্ছতার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা কথা বলেছেন। যারাই শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে সত্য উচ্চারণ করেছেন সরকার তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়েছে; আইন-আদালতের ফাঁকফোকরে অতিষ্ট হয়ে পিষ্ট হয়েছে তাদের জীবন। এমন বিভক্তি আর শত্রু ভাবাপন্নতা মনোভাব নিয়ে আইনের অপব্যবহার করা সম্ভব; কিন্তু একটি দেশকে প্রত্যাশিত মাঞ্জিলে উন্নিত করা অসম্ভব।
ধর্মীয় স্বাধীনতাকে দমন : বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। এখানকার কৃষ্টি-কালচার কখনো ধর্মের বিরোধী নয়। তারা তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে মিলিয়ে জীবনাচরণ পরিচালিত করে। বিশেষ করে মুসলমানরা এক্ষেত্রে অনমনীয়। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কারো ফরমায়েশদারির আনুগত্য করতে গিয়ে দেশের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে উল্লেখ করলেও মূলত এখানকার মানুষের কর্ম ও বিশ্বাস থেকে ইসলামকে বিদায় করতে পারেনি। বারবার প্রমাণিত হয়েছে, যেখানে যত বাধা এসেছে এর অগ্রযাত্রা আরো বেশি শানিত হয়েছে। এখানে যার যার ধর্ম সে ধর্মের অনুসারীরা পালন করবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে গেলে এখানে বৈষম্য পরিলক্ষিত হয় প্রতিটি পরতে পরতে। মাঝে মধ্যে সরকারের আচরণ পর্যবেক্ষণ করলে মনে হয়, এখানে সংখ্যালঘুরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কারণ তাদের আচার-অনুষ্ঠানে সরকারি বা বেসরকারি কোনো বাধা-বিপত্তি নেই। আর দেশের প্রধান সঞ্চালকরা মুসলমান নামধারী হলেও তারা নিজ ধর্মের সাথে অমুসলিমসুলভ আচরণ করতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। ৫ মে শাপলা চত্বরে বাংলাদেশে যে গণহত্যা ঘটেছে, তা কারবালার প্রান্তর ও স্পেনের গ্রানাডা ট্র্যাজেডিকে হার মানিয়েছে বহু আগে।
দারিদ্র্যতার কবলে বাংলাদেশ : বাংলাদেশের প্রধানতম সমস্যা হলো দারিদ্র্যতা। দারিদ্র্যতা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন সুশিক্ষা ও কর্মসংস্থাপন। স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। না খেয়ে দারিদ্র্যতার কষাঘাতে পিষ্ট হয় মানুষ; মরার খবর এখনো খবরে প্রকাশিত হয়। শাসকদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয় না অভাগা জনগোষ্ঠীর। নেতাদের চাকচিক্যতায় আর বৃত্ত-বৈভব দেখলে বহিঃবিশ্বের কেউ মনে করবে না, এখানকার মানুষ দারিদ্র্যসীমার মাঝে বাস করে। সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান অষ্টম জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বলেছিলেন, ‘বিদেশে গিয়ে আমরা যখন দেশের নানা সমস্যার কথা বলে সাহায্য চাই, তখন আমাদের বিদেশীরা তচ্ছু-তাচ্ছিল্য করে বলে, তোমাদের দেশের লোকেরা খেতে পায় না; অথচ তোমরা পাঁজারো গাড়ি হাঁকাও! তোমাদের লজ্জা থাকা উচিত।’ আসলেই মন্তব্যটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক হলেও নিজেদের বোধদয় হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের কোনো সরকারই কর্মমুখী শিক্ষা ও দারিদ্র্যবিমোচনে বাস্তবমুখী টেকসই কর্মসূচি গ্রহণ করতে না পারায় সমসাময়িককালে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো কোনো চমক লাগানো পরিবর্তন আনতে পারেনি। উল্লেখিত দেশগুলোর জনগণ যেখানে দেশের সম্পদ সেখানে আমাদের দেশের বহুল জনসংখ্যাকে মনে করা হয় বোঝা।
অর্থনৈতিক বৈষম্যের যাঁতাকলে পিষ্ট সমগ্র জাতি : বাংলাদেশ পাকিস্তানের বৈষম্যের অক্টোপাস থেকে মুক্ত হয়ে একটি স্বনির্ভর অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দন্ডায়মান হবে- এটিই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের অর্থনীতির চাবিকাঠি অন্যদের হাতে। মুক্ত বাণিজ্যের নামে গার্মেন্টস সেক্টরে চলছে ভয়াবহ অরাজকতা। যেখানে আমরা আমাদের দেশীয় উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন, সেখানে পার্শ্ব দেশের আমদানি করা নিম্নমানের পণ্যে বাজার সয়লাব। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সরকারিভাবে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেনি। কলকারখানা পাকিস্তান আমলে যা হয়েছিল, তা-ও এখন বন্ধপ্রায়। দেশের যা কিছু অগ্রগতি হয়েছে প্রাইভেট সেক্টরের কারণে। বৈদেশিক মুদ্রার আয় আমাদের রাজস্ব আয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যারা কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশ পাড়ি জমান তারা অধিকাংশ অশিক্ষত-স্বল্প শিক্ষিত ও অদক্ষ শ্রমিক। পররাষ্ট্রনীতির অদক্ষতার কারণে আমাদের দেশের বাইরের কাজের পরিধিও কমে যাচ্ছে। এর উন্নয়নে সরকারের বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে বলে মনে হয় না। 
আবদুল জব্বার 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads