শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১৬

জঙ্গিদের রুখার প্রশ্ন


রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতির এক গণবক্তৃতায় আওয়ামী লীগ সমর্থত বুদ্ধিজীবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘রক্তমাখা হাত উদারতার সংস্কৃতির গলা টিপে ধরেছে। চতুর্দিকে রক্ত। বিএনপির দুহাতে, হেফাজতে ইসলামের দুহাতে, জামায়াতের দুহাতে রক্ত এবং আওয়ামী লীগের দুহাতে রক্ত। এই রক্ত ও রক্তপাত থেকে আমাদের রাজনীতিকে উদ্ধার করতে হবে।’ (সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো, ২৩ মে ২০১৪)
আসলেই চারিদিকে রক্ত। আর এ রক্ত ঝড়ছে বিরোধী দলের জন্য নয়, বরং ক্ষমতাসীনদের অদূরদর্শীতার জন্য।  বলতে গেলে হঠাৎই সক্রিয় হয়ে উঠেছে দেশের নতুন-পুরোনো সব জঙ্গি গোষ্ঠী। ছোট ছোট নানা দলে ভাগ হয়ে সংগঠিত হচ্ছে নতুন নতুন নামে। দলে ভেড়াচ্ছে শিক্ষিত তরুণদের। অস্ত্র-বিস্ফোরকের মজুত গড়ার চেষ্টাও করছে তারা। কেউ কেউ সিরিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও তথ্য মিলছে।
২০০০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সন্ত্রাসী আক্রমণে সারা বিশ্বে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। ছোট-বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ৯০ হাজারের মতো।  ২০০৫ সালের ৭ জুলাইয়ে মধ্য লন্ডনের তিনটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশন ও একটি বাসে আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হন ৫২ জন। আহত হন সাত শতাধিক মানুষ। ব্রিটেনের মাটিতে এটাই ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা। লন্ডনে বোমা হামলাকারী চার জঙ্গির সঙ্গে আল-কায়েদার যোগাযোগ ছিল।
ভারতের ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বাই হামলা পুরো বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়। সেদিন ওই শহরের তাজ হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে ১০টিরও বেশি ধারাবাহিক গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলায় ১৬৪ জন নিহত ও কমপক্ষে ৩০৮ জন আহত হন। হামলাকারী জঙ্গিরা ছিল পাকিস্তানি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়েবার সদস্য। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলা এশিয়াজুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সক্ষমতার একটি চিত্র তুলে আনে।
 ২০১৪ সালের শেষ দিকে পাকিস্তানের পেশোয়ারে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালায় তালেবান জঙ্গিরা। এতে নিহত হয়েছে ১৩০-এর বেশি শিক্ষার্থী। নিহত শিক্ষার্থীদের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়। জঙ্গি হামলায় একই বয়সী আরও অন্তত ১২০ জনের বেশি স্কুলশিশু আহত হয়। বিশ্বব্যাপী চলা সন্ত্রাসবাদের মধ্যে এটি ছিল ভয়ঙ্করতম। পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে লেবাননের বৈরুতে বেশকিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো। এসব ঘটনায় অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। লেবাননজুড়েই আইএসের তা-ব চলছে।
দক্ষিণ বৈরুতের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ৪৩ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হন। লেবাননে এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট। শিয়া হওয়ার কারণেই এখানকার মানুষ আইএসের টার্গেট হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর প্যারিসে হামলা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল জঙ্গিবাদী সংগঠনের অপতৎপরতার সমস্যাটি বৈশ্বিক এবং সম্মিলিতভাবেই এর মোকাবিলা করা দরকার। ওইদিন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের যে এলাকায় প্রগতিশীল তরুণ ও মধ্যবিত্তের সমাবেশ হয় সে জায়গায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
জঙ্গি আক্রমণ ও হুমকি মোকাবিলায় আরেকটি দুর্ভাবনার বিষয় হচ্ছে এ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লাভের চেষ্টা। গুলশানের ঘটনার আগে এ দেশে ব্যক্তিপর্যায়ে বহু জঙ্গি আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার মধ্যে ২৭টিতে আইএস (ইসলামিক স্টেট) ও ৭টিতে একিউআইএস (আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ শাখা) দায় স্বীকার করে ইন্টারনেটে তাদের নিজস্ব ফোরামে বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু সরকার শুরু থেকেই বলে আসছে, এ দেশে আইএস বা আল-কায়েদা নেই। বরং প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো তদন্ত ছাড়াই সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করা হয়েছে। কখনো এ জন্য দেশি জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করা হলেও এর পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনের কথা বলা হয়েছে। (সূত্র : দৈনিক প্রথম আলো, ১১ জুলাই ২০১৬) 
বিদেশীদের ওপর জঙ্গি হামলা হতে পারে বলে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়াকে গোয়েন্দা তথ্য দেয়া হয়। তারপর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যায়। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন তার বাসভবনে বিদেশী কূটনীতিকদের ডেকে বলেন, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের তথ্য আছে যে, বাংলাদেশে পশ্চিমা স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট স্থানে হামলা হতে পারে। (সূত্র : দৈনিক যুগান্তর, ২৯ নভেম্বর ২০১৫)
ঘটলও তাই। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের আশংকা প্রকাশের দু’ঘণ্টার মধ্যে গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজারি তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করল দুর্বৃত্তরা। তারপর নিরাপত্তার অজুহাতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হুগো শোয়ারের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যায়। বিদেশী কনসার্টসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাতিল হয়।
২০১৫ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর আবার সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন হামলার ‘নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে’ দাবি করে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে দেশটি। ১৭ অক্টোবর ২০১৫ ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক নিরাপত্তা বার্তায় এমন সতর্কতা জারি করা হয়। সন্ধ্যায় বার্তাটি দূতাবাসের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে আয়োজিত পশ্চিমা নাগরিকদের বড় ধরনের জমায়েতসহ অন্যান্য স্থানে তাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য তাদের কাছে আছে।
১৮  অক্টোবর ২০১৫ দায়িত্ববোধ থেকেই নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। যুক্তরাষ্ট্র এখনও উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি। ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার সঙ্গে আইএস জড়িত কিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনও আসেনি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোন নতুন সতর্কতা দেয়নি, শুধুু পূর্বের সতর্কবার্তা হালনাগাদ করা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের হালনাগাদ করা বার্তায় বলা হয়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালির একজন এবং ৪ অক্টোবর জাপানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএল। ভবিষ্যতেও মার্কিন নাগরিকসহ পশ্চিমাদের লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা জোরদার করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সন্ত্রাসের হুমকি বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য হিসেবেই রয়েই গেছে। বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশে ভ্রমণরত কিংবা অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া, নিজেদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জনসমাগমের স্থলে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে হেঁটে, মোটরসাইকেলে, সাইকেলে কিংবা কোন খোলামেলা বাহনে চলাফেরা করতেও মার্কিন নাগরিকদের নিষেধ করা হয়েছে বার্তায়।
ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার পর বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। ভ্রমণ সতর্কতার কারণে বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আসা কমে গেছে। একই সঙ্গে পোশাক শিল্পের ক্রেতারাও আসতে স্বস্তিবোধ করছেন না। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আততায়ীদের হাতে খুন হন ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা ও জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি। ঘটনার পর থেকেই এ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতারা বাহাসে লিপ্ত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এর পেছনে বিএনপি-জামায়াতের ‘হাত’ আছে। বিএনপি বলছে, আসল অপরাধীদের আড়াল করতেই সরকার বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা যদি অপরাধের ‘হাত’ না খুঁজে পুরো শরীরটি খুঁজত, তাহলে রহস্য উদ্ঘাটন সহজ হতো ।
সিজার তাবেলা হত্যার প্রায় এক মাসের মাথায় ঢাকার পুলিশ কমিশনার সংবাদ সম্মেলন করে সন্দেহভাজন ঘাতক হিসেবে যাঁদের চিহ্নিত করলেন, তাঁরা কেউ মাদক ব্যবসায়ী, কেউ অস্ত্রের জোগানদাতা, কেউ পাড়ার বখাটে। এঁদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ রুবেল নামের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তাঁর পরিবার বলছে, নির্যাতনের মুখে এই স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর ২০১৫ আসামিদের আদালতে হাজির করা হলেও অনেক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তাহলে এত দিন আসামিরা কোথায় ছিলেন? আইন অনুযায়ী কাউকে গ্রেফতার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটি মেনে চলেছে কি? পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি তারা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করেছে। এর আগে সিসিটিভির ফুটেজে দুই আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেল ও টেলিফোনে আলাপরত এক যুবককেখো গিয়েছিল। সিসি টিভিতে ধরা পড়া যুবকদেরই কি পুলিশ গ্রেফতার করেছে, না অন্য কাউকে?
পুলিশের হাতে আটক চারজনের চেয়ে আলোচনায় এসেছে তাঁদের কথিত বড় ভাই, যাঁর বা যাঁদের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। সেদিন সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার কোনো বড় ভাইয়ের নাম না বললেও পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়ে দিলেন, ‘বড় ভাই’ বিএনপির মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কমিশনার ম এ কাইয়ুম। তিনি বিদেশে পলাতক, কেউ বলছেন মালয়েশিয়ায়, কেউ বলছেন লন্ডনে। পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগের অবস্থান থেকে সরে এসে বললেন, কাইয়ুমকে তিনি ‘বড় ভাই’ বলেননি। কাইয়ুম সন্দেহের তালিকায় আছেন। তাহলে কি সরকার ‘বড় ভাই’ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারছে না, না বড় ভাইয়ের ওপরের কোনো বড় ভাইকে তারা খুঁজছে? (সূত্র : দৈনিক সংগ্রাম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫)
বাংলাদেশে পুলিশ বিভাগ যেভাবে দলীয়করণের শিকার হয়েছে, যেভাবে এর হর্তাকর্তাদের মুখে রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা যায়, তাতে এটিই তো হওয়ার কথা। গুলশান ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেননি। কিন্তু অন্তত তিনজন শীর্ষ নেতা এ ঘটনায় আইএস জড়িত থাকার প্রায় অকাট্য প্রমাণ (বিশেষ করে আইএসের ওয়েব পেজের তাৎক্ষণিক আপডেট) থাকার পরও এ জন্য বিএনপি-জামায়াতকেই দায়ী করেছেন।
১১ জুলাই ২০১৬ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে, আগের দিন আইন-শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এবং ৯ জুলাই ২০১৬  চৌদ্দ দলের বৈঠকে একের পর এক হামলা ও সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে করণীয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  সেখানে হামলা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা লক্ষ করা যায়।
এ মুহূর্তে চাইলেও জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়-এই বাস্তবতা মেনে নিয়েছে সরকার। তবে যেসব প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ সরকার নিচ্ছে, তাতে এ বছরের মধ্যে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ সরকারের নীতিনির্ধারকদের। ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে এ বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা, কথিত ভিডিও প্রকাশ করে আরও হামলার হুমকি এবং শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে হামলার পর জঙ্গিদের কর্মকা- নতুন করে পর্যালোচনা করছে সরকার।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads