শনিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৬

নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে বেগম জিয়ার অর্থবহ ফর্মুলা আওয়ামী লীগের তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান : অতঃপর?


গত শুক্রবার এক সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে কতিপয় সুনির্দ্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন। আরও বলা হয়েছে যে, নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কেও তিনি শীঘ্রই একটি রূপরেখা দেবেন। এই প্রস্তাবটি পড়া এবং বিবেচনার আগেই অর্থাৎ প্রস্তাব পেশের ২ ঘন্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের তরফ থেকে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেসব প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করে দিয়েছেন। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী প্রশ্ন আসেঃ বিএনপি তথা ২০ দলীয় জোট এরপর কি করবে? কারণ আওয়ামী লীগ তো বেগম জিয়ার রূপরেখা সামারিলি রিজেক্ট করে দিয়েছে। তারা বলেছে, সংবিধান মোতাবেকই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। এ ব্যাপারে তিনি আরও কিছু কথা বলেছেন যেগুলো এই ইস্যুটির সাথে মোটেই প্রাসঙ্গিক নয়।ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার অর্থ এই দাঁড়ায় যে বিরোধী দল যখন যা কিছুই বলে বা করে সেগুলো আসলে ফালতু হয়ে দাঁড়ায়। তারা বিরোধী দলের কোনো যৌক্তিক প্রস্তাবকেও ফালতু হিসাবে উড়িয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশন গঠন সম্পর্কে বেগম জিয়া যে ফর্মুলা দিয়েছেন সেটি যুক্তি-তর্কের কষ্টি পাথরে বিবেচনা করলে অস্বীকার করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ সম্পর্কে পাল্টা যুক্তি না দিয়ে আওয়ামী লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়েছে। সংবিধানে তো এক কথা বলেই সব কিছু শেষ করে দেয়া হয়েছে। কারণ, সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন’।
সংবিধান ও মানুষ
ওবায়দুল কাদের বলেছেন যে, সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। তিনি আরও বলেন যে, ‘ইসি গঠনে আমরা সংবিধান মোতাবেক চলতে চাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে যেভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছেন, সে প্রক্রিয়া থেকে আমাদের সরে যাওয়ার সুযোগ নেই’। এ সময় ইসি গঠনে বিএনপির প্রস্তাবকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা এই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক করছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন, তারা আমাদের পবিত্র সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মিথ্যাচার নতুন নয়, ক্রমাগত ভুলের কারণে তার দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ভাবে না, বিদেশের কোন দেশে কোন দল ক্ষমতায় আসে, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (খালেদা) জনগণের ওপর আস্থা রাখেন না। ভোটে তার বিশ্বাস নেই।’ তিনি বলেন, ‘জাতির কাছে কোনো ধরনের প্রেসক্রিপশন দেয়ার আগে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় মানুষ হত্যার জন্য তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে। শোক দিবসে জন্মদিন পালনের জন্যও ক্ষমা চাইতে হবে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন যে তিনি (খালেদা) সুন্দর সুন্দর ভালো কথাগুলো বলছেন, এগুলো মাগুরা, ঢাকা-১০ এর উপ-নির্বাচনে কোথায় ছিল। নিজেরা যেটা প্রাকটিস করে না, সেটা অন্যকে বলাও ঠিক নয়।
দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, জনাব ওবায়দুল কাদের ধান ভানতে শিবের গান গাচ্ছেন। বেগম জিয়ার প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর কি আছে? আর এসব কথা বললেই সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয় কিভাবে? তাহলে এর আগে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আওয়াজ উঠেছিলো তখন আওয়ামী লীগও কি সংবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিলো? কারণ তখন তো সংবিধানে দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যবস্থা ছিলো। আন্দোলনের মাধ্যমে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল হয় এবং কেয়ারটেকার সরকারের ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। এটিকেই বলা হয় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী। তখন কেউতো বলেনি যে, আওয়ামী লীগ তথা বিরোধী দল রাষ্ট্রদ্রোহিতা করছে অথবা তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ তো বার বার বলেছে যে মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। সুতরাং মানুষের ইচ্ছা বা দাবি মোতাবেক সংবিধান যখন তখন পরিবর্তিত বা সংশোধিত হতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া যে সব প্রস্তাব দিয়েছেন সে সব প্রস্তাব সরকার মেনে নিলে নেবে, না হলে সেসব দাবি আদায়ের জন্য বিরোধী দল শান্তিপূর্ণ পথে, গণতান্ত্রিক পথে, নিয়মতান্ত্রিক পথে জনগণের কাছে যাবে। জনগণ তাদের দাবি গ্রহণ করলে সংবিধান সংশোধিত হবে, গ্রহণ না করলে হবে না। তাই বলে এসব প্রস্তাবের মধ্যে তিনি মিথ্যাচার কোথায় দেখলেন?
॥ দুই ॥
আমরা খালেদা জিয়ার ব্রিফ নিয়ে বসিনি। কিন্তু যখন তিনি বলেন যে, বেগম জিয়া জনগণের ওপর আস্থা রাখেন না তখন তিনি ইতিহাসকে সঠিকভাবে বিব্রত করেন না। ভোটে নাকি বেগম জিয়ার বিশ্বাস নাই  (দৈনিক সংগ্রাম, শনিবার, ১৯ নবেম্বর)। ভোটে কোন দলের বিশ্বাস আছে আর কোন দলের নাই সেই বিতর্কে আমরা যাব না। তবে একটি শক্তিশালি, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হোক যেখানে সব দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং যেখানে জনগণ নির্ভয়ে অবাধে তাদের ভোট দিতে পারে। এমন একটি নির্বাচন দিতে হবে যেখানে জনগণ যে মার্কায় তার ভোটটি দিতে চায় সেই মার্কাতেই যেন ভোটটি পড়ে। সেখানে যেন এমন নির্বাচন না হয় যেখানে, ‘আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব’, অবস্থা না হয়। এমন একটি পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হোক। তখন দেখা যাবে কোন দল ভোটে যায়, আর কোন দল ভোটে যায় না। সেই রকম একটি অবস্থার সৃষ্টি না করে এমন একটি ভোট করা হলো যেখানে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ¦ীতায় পাস করল। তেমন একটি ইলেকশনে বিরোধী দল যাবে কিভাবে? সেই ইলেকশন বয়কট করার পর যদি বলা হয় যে, বিরোধী দল ভোটে বিশ্বাস করে না তাহলে সেটা সত্যের চরম অপলাপ হবে।
অনেকের ধারণা ছিল যে, ওবায়দুল কাদের সাহেব হয়তো দলের অভ্যন্তরেও গণতন্ত্রের চর্চা করবেন। কিন্তু মাত্র ১ মাসের মধ্যেই সেই ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। যুদ্ধাপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া এবং শোক দিবস পালনের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা তিনি যতদিন না চাচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত বেগম জিয়া কোনো রাজনৈতিক প্রস্তাব দিতে পারবেন না, এমন কথা কোনো গণতান্ত্রিক নেতার মুখে শোভা পায় না। একমাত্র ফ্যাসিস্ট ডিক্টেটররাই এ ধরনের কথা বলতে পারেন। এটিকেই বলা হয় গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ এবং মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার টুঁটি চেপে ধরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে আমরা একটু পেছনে ফিরিয়ে নিতে চাই, যখন কেয়ার টেকার আন্দোলন দানা বাঁধে এবং চূড়ান্ত পরিণামে ত্রয়োদশ সংশোধনী নামে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
॥ তিন ॥
কেয়ারটেকার সরকারের ইতিহাস নিয়ে এই ক্ষুদ্র পরিসরে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি আজকের আলোচনার সাথে প্রাসঙ্গিক বলে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করছি।
জেনারেল এরশাদের ৯ বছরের শাসনামলে ভোট নিয়ে অনেক কারচুপি হয়। তখন অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এবং দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তথা সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে প্রবল গণআন্দোলন হয়। এই গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ পদত্যাগ করেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তদানীন্তন প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। অনেকেই এটিকে দেশের কেয়ারটেকার সরকার বলতে চান। যাই হোক, শাহাবুদ্দিন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ১৯৯৪ সালে মাগুরায় অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে সরকারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলে বিরোধী দল। এখান থেকেই হয় কেয়ার টেকার সংজ্ঞার উৎপত্তি। এর আগে সর্বপ্রথম জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ৮০’র দশকে এক সাংবাদিক সন্মেলনের মাধ্যমে কেয়ারটেকার সরকারের সংজ্ঞা জনগণের নিকট উপস্থাপন করেন। বিষয়টি জনগণ কতৃক নন্দিত হলেও সেটি আর বেশিদূর অগ্রসর হয়নি। ১৯৯৪ সালে মাগুরার উপনির্বাচনে কারচুপি হলে আওয়ামী লীগ কেয়ারটেকার সরকার আদায়ের দাবিতে রাজপথে নেমে আসে। তাদের দাবিতে জামায়াতের কেয়ারটেকার সরকারের ছায়াপাত ঘটেছিল। কেয়ারটেকার সরকারের এই দাবিতে আওয়ামী লীগ রাজপথে যে আন্দোলন শুরু করে সেই আন্দোলন ধীরে ধীরে সারা দেশে উত্তাপ ছড়াতে থাকে। সরকার কেয়ারটেকার দাবি মানতে অস্বীকার করে। জামায়াতও এই ইস্যুতে আন্দোলন করে, তবে ভিন্ন প্লাটফর্মে। আন্দোলনের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ মাসের পর মাস ধরে সংসদের অধিবেশন বর্জন করে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৯৬ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আন্দোলনের প্রবল চাপে সেই সংসদ অর্থাৎ ৬ষ্ঠ সংসদ বাতিল করা হয়। বাতিল করার আগে সেই সংসদই কেয়ারটেকার সরকার বিল পাস করে, যেটি এদেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে ত্রয়োদশ সংশোধনী নামে খ্যাত।
ওপরের এই আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, রাজপথের আন্দোলন ছাড়া বাংলাদেশে কোনো দিন গণদাবি আদায় হয় না। বেগম জিয়া গণমুখী নির্বাচন কমিশন গঠনের যে ফর্মুলা দিয়েছেন সেটি আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। দীর্ঘদিন ধরে পড়াশুনা করে, ইতিহাস ও রাষ্ট্র বিজ্ঞান ঘাঁটাঘাঁটি করে বিএনপি যে ফর্মুলা দিয়েছে সেটি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। এখন বিএনপি কি করবে? বেগম জিয়ার সাংবাদিক সন্মেলনে আরও বলা হয়েছে যে, খুব সহসা অবাধ নির্বাচনের একটি ফর্মুলা দেয়া হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে সেই ফর্মুলাও আওয়ামী লীগ তাৎক্ষণিকভাবেই নাকচ করে দেবে।
আজ শনিবার এই কলামটি লেখার সময় দেখলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন যে, নির্বাচন কমিশন পুনরায় গঠন করার জন্য বেগম জিয়া যে ফর্মুলা দিয়েছেন সেই ফর্মুলা জনগণের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। এজন্য জনগণের মাঝে এই ইস্যুটি ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। যখন এই দাবিটি জনগণের গ্রহণযোগ্যতা পাবে, তার পরেও যদি আওয়ামী লীগ তার জেদ বহাল রাখে, অর্থাৎ সকলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে নির্বাচনী সরকার গঠনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি তথা ২০ দলকে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। অভিজ্ঞ মহলের মত, মির্জা ফখরুল যে আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করছেন সেটি বাস্তবায়িত করতে হলে বিএনপিকে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।  প্রস্তুতি পর্বে একদিকে মানববন্ধন, সেমিনার সিম্পোজিয়াম প্রভৃতি অনুষ্ঠান করতে হবে, অন্যদিকে ধীরে ধীরে রাজপথে নেমে আসতে হবে। বিএনপির প্রস্তাবিত আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। একবার যদি জনগণকে আন্দোলনে সামিল করা যায় তাহলে আন্দোলনের সফলতা দমন নীতি দিয়ে ঠেকানো যাবে না। বিগত মার্চ আন্দোলনের পর ১ বছর ৮ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। আর সময় ক্ষেপণ করলে বিএনপি তথা ২০ দল আন্দোলন গড়ে তোলার সময় পাবে না। যদি দাবির বাস্তবায়নই না হয় তাহলে সেই দাবিনামা প্রস্তুত করার পেছনে শিক্ষাবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সাংবাদিক এবং গবেষক দিয়ে সেই দাবিনামা প্রস্তুত করা অর্থহীন হয়ে দাঁড়াবে। 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads