বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬

আমরা যুদ্ধে যাবো কী মজা!


সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান দৃশ্যত তাদের নানা ধরনের অস্ত্রে শান দিচ্ছে। কাশ্মীরে ভারত একজন জাতীয়তাবাদী নেতাকে হত্যা করার পর সেখানে চরম সংঘাতের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ভারতীয় সামরিক বাহিনী সেখানে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে বহুসংখ্যক মুসলমান নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যা করেছে। তাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তো আসেইনি, বরং সংঘাত আরও বেড়েছে। ফলে গত তিন মাস ধরে ভারতের বর্বর সরকার কাশ্মীরে কারফিউ জারি করে রেখেছে। আর মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরে চালাচ্ছে নিষ্ঠুর নির্যাতন। তার সচিত্র প্রতিবেদন সারা বিশ্বের মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। দিল্লী সরকারের এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গোটা পৃথিবী। সেদিক থেকেও দৃষ্টি সরানো দরকার ভারতের। তাই যুদ্ধের জিগির তুলছে মোদি সরকার। উপরন্তু আগামী বছর আছে ভারতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশের নির্বাচন। সে নির্বাচনে জেতার জন্য খানিকটা বেটাগিরি দেখাতেও বলা হচ্ছে, পাকিস্তানকে একেবারে ধরাশায়ী করে দেয়া হয়েছে। এ রকম সময়ে কাশ্মীর সীমান্ত বরাবর এক ভারতীয় সেনা ছাউনিতে গেরিলা হামলায় নিহত হয় ১৮ জন ভারতীয় সেনা। যার জন্য ভারত চিরাচরিতভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করে বসে। এটা ভারতের সকল সরকারেরই পুরানা রোগ। এরপর ভারত বলে যে, তারা পাকিস্তানের তিন মাইল ভেতরে ঢুকে পাকিস্তানে প্রভুত ক্ষতি সাধন করেছে। পাকিস্তান বলছে, ভারত তাদের সীমানার এক ইঞ্চিও ভেতরে ঢুকতে পারেনি। ভারতের বিরাধী দলগুলো বলেছে, যদি ভারতীয় সেনারা পাকিস্তানের সীমানার ভেতরে ঢুকে থাকে, তবে তার প্রমাণ দেখাও। ভারতের চরম হিন্দু সাম্প্রদায়িক মোদি সরকার বলেছে যে, প্রমাণ এখন দেখানো যাবে না।
তবে পাকিস্তান একটা কথা খুব স্পষ্ট করে বলেছে যে, ভারত যদি বেশি বাড়াবাড়ি করতে চায়, তবে তাদের মনে রাখা উচিত, পাকিস্তানের যে পরমাণু অস্ত্রভা-ার রয়েছে, সেগুলো তারা শুধু প্রদর্শনীর জন্য রাখেনি। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোনো সময় প্রয়োগ করবে। হ্যাঁ, এ কথাও সত্য যে ভারতও পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী। পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে ভারতও চুপ করে বসে থাকবে না। তারাও পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পারমাণবিক হামলা চালাবে। এতে ভারত পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার কমপক্ষে ২০০ কোটি লোকের জীবন বিপণœ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ বলেছে, তারা এই উত্তেজনা অবসানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে চায়। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই উত্তেজনার মধ্যেও রাশিয়া পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। চীন বলেছে, তারা পাকিস্তানের পাশে থাকবে। আর ইরান ও সৌদি আরব বলেছে, তারা যোগ দিতে চান চীন-পাকিস্তান জোটের সঙ্গে। অর্থাৎ ভারতের উগ্র সাম্প্রদায়িক সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বে একটা মেরুকরণ ইতিমধ্যেই ঘটে গেছে। ফলে ভারত এখন তার জিগির খানিকটা থামিয়েছে বলে মনে হয়।
মোদি সরকার যখন জোরেশোরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে তাদের সৈন্যদের হত্যা করার গল্প বলতে শুরু করেছিল, তখন ভারতের বিরোধী রাজনীতিকরা সঙ্গতভাবেই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ভারতে যদি পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে তাদের সৈন্যদের ঘায়েল করেই থাকে, তবে তার ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হোক। কিন্তু দিল্লী সরকার বাংলাদেশ সরকারের মতোই বলে যাচ্ছে যে, এখন তা প্রকাশ করা যাবে না। ফলে বোঝা যাচ্ছে যে, দিল্লী সরকারের এই দাবি একেবারে ধোকা। এদিকে পাকিস্তানের সীমান্ত লঙ্ঘন করায় পাকিস্তান ভারতের একজন সৈন্যকে আটক করেছে। মোদি সরকারও সেটা কবুল করে নিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়া মনে হচ্ছে যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়ার জন্য একেবারে আদাজল খেয়ে নেমেছে। সরকার যতো বলছে, ভারতীয় মিডিয়া সেসব গুজব ছড়াচ্ছে শত গুণ করে।
তবে এই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীরই। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় হায়দরাবাদ ছাড়া ভারতের সকল মুসলমান অঞ্চল পাকিস্তানে যোগ দেয়। আর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও কাশ্মীরের হিন্দু শাসকরা ভারতে যোগ দেয়ারই সিদ্ধান্ত নেন। তা নিয়ে বিবাদের সৃষ্টি হলে পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর গঠন করে কার্যত সেটাকেই কাশ্মীর সীমান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭২ সালে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সিমলা চুক্তি সম্পাদিত হয়। তাতে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনী যেখানে থেমেছিল সেটাকেই উভয় দেশের সীমান্ত বলে মেনে নেয়া হয়। এর আগেও ভারত ও পাকিস্তান তিনবার যুদ্ধ করেছে। অনেক প-িত এও বলেছেন যে, এবার ভারত-পাকিস্তান চতুর্থ যুদ্ধ শুরু হলো বলে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই গত ১ অক্টোবর ভারত দাবি করে যে, তারা পাকিস্তানের সীমান্তরেখা বরাবর ৩ মাইল ভেতরে ঢুকে কিছু জঙ্গি আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান ভারতের এই দাবি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। এবং পুনরায় বলেছে, তারা কোনো জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। দিল্লীর হম্বিতম্বির মাঝখানেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ সকল বিরোধী দল, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। পারমাণবিক অস্ত্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
এর মধ্যে ভারত একদিকে যেমন উস্কানিমূলক আচরণ করেই যাচ্ছে, অপরদিকে তেমনি চালাচ্ছে সীমান্ত লঙ্ঘন। ভারতীয় মিডিয়া জানিয়েছে, গত ৩ অক্টোবর পাল্লাঅলা সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘসময় ধরে বন্দুকযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক জওয়ান গুরুতর আহত হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, ভারত সীমান্ত ও যুদ্ধবিরতি উভয় লঙ্ঘন করছে। ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীর সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়। আর সঙ্গে সঙ্গে ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে বসে। আবার ২ অক্টোবর উরি থেকে ৫০ মাইল উত্তরে বারামুল্লা রাষ্ট্রীয় রাইফেলের সদর দফতরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। তাতে একজন বিএসএফ জওয়ান মারা যায়। তিনজন সৈন্য ও চারজন বিএসএফ আহত হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে পাকিস্তান একদম মুখ বন্ধ করে আছে। বরং তারা নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন-এর মতো সংবাদ মাধ্যমগুলোকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে যে, ভারত পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে হামলা চালানোর যে দাবি করছে, তা ভুয়া, মিথ্যা ও কাল্পনিক। এর মাধ্যমে ভারত শুধু তার দেশের জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। ভারতের কংগ্রেস নেতা সেঞ্জয় নিরূপম ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে ভারতের হামলা চালানোর ঘটনাকে মসকরা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তারা বলেছেন, এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই দাবি করে আসছে। তবে সীমান্তে গোলাগুলী চলছে। ৯০ দিন কারফিউ জারি রাখলেও কাশ্মিরীদের স্বাধীনতার আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে উঠেছে। ফলে সংঘাত চলছেই।
আরেকটি বিষয় হলো, ভারতের মতো পাকিস্তানী মিডিয়া যুদ্ধংদেহী মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে না। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং ঠা-া মাথায় বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তারপরও ভারত ভাবছে যে, এ ধরনের সীমান্ত হামলা চালিয়ে কাশ্মীর ইস্যু থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি তারা সরিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু পাকিস্তান মনে করে যে, কাশ্মীর আন্দোলন আরও বেগবান হলে, তারা কাশ্মীরকে ভারতে থেকে বিচ্ছন্ন করে ফেলতে পারবে। ভারতের সমস্যা শুধু কাশ্মীর নিয়ে নয়, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর স্বাধীনতাকামীদের দমাতে তাদের দশকের পর দশক ধরে বিপুল সংখ্যক সৈন্য মোতায়েন রাখতে হচ্ছে। চীনের সঙ্গে অরুণাচল প্রদেশের বিরোধে সেখানেও সেনা মোতায়েন বাড়াতে হয়েছে। পাকিস্তানের অন্যান্য সীমান্তেও আছে ভারতীয় বাহিনী। পাকিস্তানের একজন সাবেক অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বলেছেন, ‘ভারতেকে অনেক বিরোধপূর্ণ সীমান্তে সেনা মোতায়েন রাখতে হচ্ছে এবং হবে। আমাদের সে সমস্যা নেই। আমাদের হাত মুক্ত।’
কিন্তু সত্যি সত্যি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাধলে তা গোটা অঞ্চলের বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাকিস্তানী বন্দর ও সড়ক দিয়ে চীনের যে সাপ্লাই লাইন, ভারত সেটা বন্ধ করে দেবার চেষ্টা করতে পারে। এটি আরও আশঙ্কাজনক হতে পারে, যদি এই কাজে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সমর্থন দেয়। তাতে করে চীন বিকল্প পথ হিসেবে মালাক্কা প্রণালী ব্যবহার করতে পারে। চীনের ১১ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষমতাশালী অর্থনীতির জন্য এ দু’টি রুটই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত যদি তা করেই বসে, তবে চীন অরুণাচল প্রদেশ ও আসামের কিছু অংশÑ যা তারা অনেকদিন ধরে নিজেদের বলে দাবি করছে, তাতে হাত দিতে পারে। এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে।
এর মধ্যে গত ৩ অক্টোবর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে রামের লঙ্কা বিজয়ের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, লঙ্কা জয় করে রাম যেমন তার শাসনভার বিভীষণকে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও ভারত তাই করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষের যে স্বাধীনতা যুদ্ধ সেটিকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছেন মনোহর পারিকর। লক্ষ লক্ষ মানুষের শাহাদাৎ বরণ ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করলাম, সে স্বাধীনতা ভারত এনে দিয়েছেÑ এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ করেনি বাংলাদেশ সরকার, প্রতিবাদ করেননি চেতনাওয়ালারা, প্রতিবাদ করেনি শাহবাগের লাফাঙ্গাদের দল। যেসব বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে লাফালাফি করেন, মুখে ফেনা তুলে ফেলেন, তাদের মুখেও কোনো প্রতিবাদ শুনতে পেলাম না। তবে কি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ মিথ্যে হয়ে গেলো? আর ক্ষমতা দিলো বিভীষণকে? বিভীষণ লঙ্কা রাজা রাবনের ভাই ছিলেন। রামায়নের কাহিনী ইতিহাস নয়, কাব্য মাত্র। এর কাহিনী নিয়ে মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচনা করেন। এতে তিনি রাবনকে দেশপ্রেমিক হিসেবে চিত্রিত করেন। আর রাবনের ভাই মেঘনাদকে বিশ্বাসঘাতক দেশদ্রোহী বলে চিহ্নিত করেন। মেঘনাদই রামের ভাই লক্ষ্মণকে গোপনে রাবনের ছেলে মেঘনাদের যজ্ঞ কক্ষে নিয়ে যান এবং লক্ষ্মণ সেখানে মেঘনাদকে হত্যা করে। এর এক পর্যায়ে রাবনের পতন হয়। রাম লঙ্কা ছেড়ে চলে যাবার সময় ঐ বিশ্বাসঘাতক মেঘনাদের হাতে লঙ্কার শাসনভার তুলে দিয়ে যান। বাংলাদেশে তাহলে সেই বিশ্বাসঘাতটি কে?
আর এর পরদিনই এক আশ্চর্য সংবাদ পড়লাম, ৪ অক্টোবর বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলে বসলেন যে, কোনো যুদ্ধে ভারত আক্রান্ত হলে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের পুরানো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তা কোনোদিন ভুলবো না। তাই ভারত যদি কারও দ্বারা আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের পাশে থাকবে। এই কার মধ্য দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে কোথায় ঠেলে দিলেন, সেটা তিনি বোঝেন কিনা জানি না। কিন্তু সম্প্রতি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতি বিশ্লেষণমূলক ম্যাগাজিন ‘ডিপ্লোম্যাট’ এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। সেই নিবন্ধে এসাম সোহাইল মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ একটি ভারতের প্রজারাষ্ট্রে (ভ্যাসাল স্টেট) পরিণত হয়েছে। আর সে কারণেই ভারত সার্কে গেলো না বলেই ভুটানের মতো বাংলাদেশও সার্কে না যাবার ঘোষণা দিয়েছে। সেই নিবন্ধটির শিরোনাম হলো, ‘Bangladesh Just Became a Vassal State’। আগ্রহীরা ঐ গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধটি পড়ে দেখতে পারেন।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads