শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১২

আ.লীগের পকেটে টিআইবি



দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনের দাবিদার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আওয়ামী লীগের পকেটে। সনাকের আবরণে সারাদেশে টিআইবির ৪৫টি কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে ৪৪টি কমিটির ৬২৫ জন সদস্যের রাজনৈতিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৪০৬ জন আওয়ামী লীগ ও সমমনা বাম রাজনৈতিক দলের সমর্থক। শতকরা হিসেবে এ সংখ্যা ৬৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এদের মধ্যে ৩১৪ জনই সরাসারি আওয়ামী লীগ সমর্থক। যাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে রয়েছেন। বাম রাজনীতির সমর্থক ৮৭ জন। এর মধ্যে সিপিবি ৩২, জাসদের ৬, ওয়ার্কার্স পার্টির ৪ জন ও বাসদের ৫ জন রয়েছেন। সনাকের বামপন্থী সদস্যদেরও অনেকে সরাসরি জেলা ও উপজেলা কমিটিতে রয়েছেন। এছাড়া মহাজোটভুক্ত জাতীয় পার্টির ৫ জন পাওয়া গেছে।
সনাকের ৪৪টি কমিটিতে বিএনপি ও চারদলীয় জোটের সমর্থক রয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক আছেন ৩ জন এবং অপর ৪১ জন বিএনপির। শতকরা হিসেবে তাদের অবস্থান ৭ দশমিক ০৪ শতাংশ। এছাড়া দলনিরপেক্ষ বা সুশীল হিসেবে পরিচিত সদস্য রয়েছেন ৯৭ জন অর্থাত্ ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। দলীয় পরিচয় অস্পষ্ট ৭২ জনের বা ১১.৫২ শতাংশের। অন্যদের মধ্যে গণফোরামের ৩ জন ও ইউপিডিএফের ৩ জন সমর্থক পাওয়া গেছে অর্থাত্ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, টিআইবির ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্যরা আগে থেকেই একতরফা আওয়ামী লীগের সমর্থক বা আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগী ব্যক্তি। সনাকের ব্যানারে সারাদেশে যে ৪৪টি কমিটি রয়েছে, সেখানেও দেখা গেছে প্রায় একই চিত্র। কমিটির সভাপতি, সহ-সভাপতি কিংবা সদস্যরাও একতরফা আওয়ামী লীগ ও সমমনাদের সমর্থক। কিছু কিছু কমিটিতে নামেমাত্র বিএনপি বা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের দু-একজন করে সদস্য আছেন। এতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতিতেও নির্বিকার রযেছেন টিআইবি ও সনাকের সদস্যরা। সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কোনো হৈচৈ দূরে থাক, উচ্চবাচ্য পর্যন্ত করছেন না; বরং কোনো কোনো এলাকায় সরকার বা সরকারি দলের লোকজনের পক্ষেই সাফাই গাইছেন।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো এলাকায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গঠনের জন্য তিন মাস আগেই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের মাধ্যমে যোগ্য লোকদের তালিকা তৈরি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে কি না, সেগুলো খতিয়ে দেখা হয়। দলীয় চিন্তাচেতনার ঊর্ধ্বে নিরপেক্ষ ব্যক্তি; যারা মানুষের জন্য কাজ করতে চান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে আগ্রহী তাদের তালিকা তৈরি করা হয়। সক্রিয়ভাবে যারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কমিটিতে বরাবরই নিরুত্সাহিত করা হয়। এরপরও যেহেতু বাংলাদেশর মানুষ রাজনীতিসচেতন ও রাজনীতিপ্রিয়, সেক্ষেত্রে যে মতার্দশের মানুষই হোক না কেন, তারা যাতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে থেকে দুর্নীতিবিরোধী কাজ করে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক দলের কমিটিতে রয়েছেন এ রকম ব্যক্তিদের সংখ্যা টিআইবির সনাকে খুবই রেয়ার। টিআইবিতে থাকা অবস্থায় কেউ রাজনৈতিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ বা স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তাকে সচেতন নাগরিক কমিটি থেকে পদত্যাগ করে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। কিছু দিন আগে টিআইবির চট্টগ্রামের পটিয়া শাখার আহ্বায়ক পৌরসভা নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়ায় পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
টিআইবিতে সরকারদলীয় ও সমমনাদের টিআইবিতে প্রাধান্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। রাজনীতি বাদ দিয়ে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলন সফল করা সম্ভব নয়। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে। আজও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে টিআইবির প্রোগ্রাম রয়েছে। টিআইবির সচেতন নাগরিক কমিটিগুলোর দুর্নীতির বিরুদ্ধে মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে। কাজের ক্ষেত্রে তাদের কাছে রাজনৈতিক বিশ্বাস বা মতাদর্শ কখনোই প্রাধান্য পায় না। এজন্য দেশে-বিদেশে টিআইবি গ্রহণযোগ্য সংগঠন হিসেবে সব মহলে বিশ্বস্ত ও স্বীকৃত।
টিআইবি সূত্র সারাদেশে সনাকের ৪৫টি কমিটি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৪ কমিটির বিস্তারিত তালিকা আমরা পেয়েছি। সাতক্ষীরা জেলা কমিটির বিস্তারিত তালিকা পাওয়া যায়নি। ৪৪টি কমিটিতে যারা আছেন, এই প্রতিবেদনে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হয়েছে। টিআইবি থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনুয়ায়ী সনাক কমিটিগুলোর সদস্যদের অবস্থান তুলে ধরা হলো।
ময়মনসিংহ : সনাক ময়মনসিংহ জেলার বেশিরভাগ সদস্য বাম রাজনৈতিক মতাদর্শের তথা কমিউনিস্ট ঘরানার। কমিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর শামসুল ইসলামের তেমন কোনো রাজনৈতিক পরিচয় না পাওয়া গেলেও অপর উপদেষ্টা অধ্যাপক যতীন সরকার বাম বুদ্ধিজীবী। কমিটির সভাপতি প্রফেসর মুহম্মদ মোকাররম হোসেন রাজনৈতিক নিরপেক্ষ হিসেবে জানা গছে। একইভাবে সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই সহ-সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ও মার্জিয়া বেগম, সদস্য রোকেয়া বেগম, সুমিতা নাহা, মীর গোলাম মোস্তফা, মমতাজ আক্তার খানম ও মনোয়ারা বেগমের। অন্য সদস্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জমান গণফোরাম নেতা, অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত সিপিবির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, শেখ বাহার মজুমদার সিপিবির জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া প্রফেসর মুহম্মদ আশরাফুজ্জামান সেলিম, ফেরদৌস আরা মাহমুদা হেলেন, ডা. প্রদীপ কর, ডা. মীর্জ্জা মানজুরুল হক, শরীফুজ্জামান পরাগ সিপিবি সমর্থক। অপর সদস্য তুষার দারিং ও মুকুল দারু উপজাতি নেতা ও বাম রাজনীতির সমর্থক।
মুক্তাগাছা : সনাক মুক্তগাছা (ময়মনসিংহ) উপজেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আবদুস সবুর বিএনপির সমর্থক। যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান আওয়ামী লীগের সমর্থক। তিনি সাবেক এমপি ও মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম অ্যাডভোকেট শামছুল হকের জামাতা। অপর যুগ্ম আহ্বায়ক রুমী দাস উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেন। সদস্য অধ্যক্ষ স্বপন কুমার দাস আওয়ামী লীগের সমর্থক। অধ্যাপক এখলাছুর রহমান জুয়েল উপজেলা বিএনপির কমিটিতে ছিলেন। অ্যাডভোকেট মাহবুবুল রহমান বুলবুল বিএনপির সমর্থক। সুভাষ চন্দ্র রক্ষিত থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে কার্যকরী কমিটির সদস্য। নূরুল ইসলাম নূরু, হেনা সাহা ফেরদৌসী আক্তার ও মলিনা রানী দত্ত আওয়ামী লীগের সমর্থক। সেলিনা বেগম বেবী, মো. মোখলেচুর রহমান, নাজমুন নাহার দিলু, প্রভাষক মাহবুবুল আলম রতন, ডা. শাহজাহান আলী খান ও মো. সুরুজ মিয়া বিএনপির রাজনীতি সমর্থন করেন বলে জানা গেছে।
কিশোরগঞ্জ : সনাকের কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট মায়া ভৌমিক আওয়ামী লীগ সমর্থক ও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তের শাশুড়ি। সহসভাপতি দিপীকা দাস কমিউনিস্ট সমর্থক। অন্য সহসভাপতি সাংবাদিক অ্যাডভোকেট সাইফুল হক মোল্লা দুলুর রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ফারুকী, উষা রানী দেবী, মানস কর ও স্বপন কুমার বর্মণ আওয়ামী লীগের রাজনীতি সমর্থন করেন। সদস্য অধ্যাপক আবদুল গনি জাসদ সমর্থক। ডা. সুশীল কুমার শীল সিপিবি সমর্থক। এছাড়া সদস্য শাকিলা মাহমুদা, এমএ কাইয়ুম, রওশন আরা লুত্ফুন নাহার ও শেখ মোহাম্মদ মোটামুটি নিরপেক্ষ বলে জানা গেছে।
জামালপুর : সনাকের জামালপুর জেলার সভাপতি এইচআর জাহিদ আনোয়ার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সনাকের সহসভাপতি এএকে মাহমুদুল হাসান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। সনাকের সদস্য সুকুমার চৌধুরী স্বপন জেলা কৃষক লীগের সভাপতি, অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন আওয়ামী লীগ নেতা ও অন্য সদস্য মোস্তফা বাবুল আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমানে বিটিভির জেলা প্রতিনিধি। এছাড়া অধ্যাপক মীর আনছার আলী, অধ্যাপক হাসান মাসুদ খান, অধ্যাপক আবদুল হাই, অধ্যাপক কায়েদ-উদ-জামান, নুরুন্নাহার বেগম ও পারভীন তরফদার মোটামুটি নির্দলীয় বলে জানা গেছে। সনাকের সদস্য অ্যাডভোকেট শামীম আরা, শামীমা খানম ও সাইদা আক্তার নারী নেত্রী হিসেবে পরিচিত এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট।
নালিতাবাড়ী : শেরপুরের নালিতাবাড়ী সনাকের সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত আলী ও সহসভাপতি জোবায়দা খাতুন সুশীল হিসেবে পরিচিত থাকলেও তারা মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক। অন্য সহসভাপতি সরকার গোলাম ফারুক উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সদস্যদের মধ্যে সত্যজিত দত্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ও আমিনুল ইসলাম কাকরকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। সদস্য রাধা বিনোদ দে, এনএম সাদরুল আহসান (মাসুম), সনজিত সাহা ও কোহিনূর রুমা আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য আবদুল ফাত্তাহন (নাজমু), লুত্ফুন নাহার ও এসএম রফিকুল ইসলাম (ভুট্টো) রাজনীতি নিরপেক্ষ বলে জানা গেছে।
মধুপুর : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা সনাকের ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির মধ্যে ১১ জনই আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে জানা গেছে। এছাড়া ১ জন বিএনপি, ১ জন বাসদ ও ৩ জন মোটামুটি নিরপেক্ষ। কমিটির সভাপতি শ্রীকুমার গুহ নিয়োগী, সহসভাপতি মারিয়া চরন ও তপন কুমার আওয়ামী লীগ রাজনীতির সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদ সেলিম, ডা. ফরহাদুল আলম মনি, সায়েদুল ইসলাম, সখিনা মোহসেনা বিল্লাহ, সাজেদা খাতুন, ম্যাগদালিনা মুরং, মোনালিসা মেবল ধর ও বিমল কুমার সাহা আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস সামাদ তালুকদার বিএনপি সমর্থক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এসএম শহীদ বাসদ সমর্থক। এছাড়া সদস্য আবদুল লফিত, রোকেয়া বেগম ও আফসার উদ্দিন রাজনীতি নিরপেক্ষ বলে জানা গেছে।
সাভার : সাভার উপজেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন খান আগে ছাত্র ইউনিয়ন করতেন বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থক ও সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মো. হামিদ রঞ্জু আওয়ামী লীগ সমর্থক। অন্য সহসভাপতি সীমা দেওয়ান বিএনপি সমর্থক। তার বাবা মানিক লাল দেওয়ান বিএনপি সরকার আমলে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সদস্যদের মধ্যে ড. আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, শেখ আবদুল হালিম, ডা. মোহাম্মদ রফিক, ডা. আবদুল লতিফ বিশ্বাস, প্রকৌশলী আবদুল খালেক, গোবিন্দ আচার্য, ফাতেফা জিন্নাহ ছিদ্দিকা খান আওয়ামী লীগ সমর্থক। অন্য সদস্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট আহাম্মেদ আলী ও মো. গোলাম মোস্তফা খান বিএনপি সমর্থক। অন্য সদস্য অ্যাডভোকেট তুহিন খান সাংবাদিক তার রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট।
মুন্সীগঞ্জ : সনাক মুন্সীগঞ্জের সভাপতি খালেদা খানম আওয়ামী লীগ সমর্থক। তার খালা মমতাজ বেগম আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি। সহসভাপতি ডা. আখতার হোসেন আওয়ামী লীগ সমর্থক ও স্বাধীনতা চিকিত্সক পরিষদ (স্বাচিপ) মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি। অন্য সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রোজিনা ইসলাম জেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সহ-সম্পাদক। সদস্যদের মধ্যে লুত্ফর রহমান চৌধুরী, ছাবেরা আক্তার ছবি, তানভীর হাসান (প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি ও তার ছোট ভাই ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি), বিলকিস সুলতানা, মনোয়োর হোসেন আলম (আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নূহ উল আল লেলিনের ছোট ভাই) ফজলুর রহমান আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য জাহাঙ্গীর হাসান ও অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির (শাহীন মাঝি) বিএনপি সমর্থক। অন্য সদস্য সাংবাদিক শহীদ-ই-হাসান তুহিন জাসদের সাবেক নেতা, জাহাঙ্গীর হাসান ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা ও আলী আকবর মিলন গণফোরামের সাবেক নেতা।
গাজীপুর : জেলা সনাকের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শহীদুল্লা দল নিরপেক্ষ সুশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া যুগ্ম আহ্বায়ক মুকুল কুমার মল্লিক ও ফয়জুন্নেছা লাভলী, সহসভাপতি অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক এমএ বারী, ড. ফরিদ আহমেদ, জমিরা খাতুন, ডা. ইউনুস, অ্যাডভোকেট শামীম আরা, এনামুল হক, হাবীবুর রহমান ও শরীফ হোসেন ঢালী আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য মাসুদুর রহমান সিপিবি সমর্থক। সদস্য রোকেয়া বেগম ও এনজিও কর্মী রিয়াজ মনোয়ারের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট।
মাদারীপুর : মাদারীপুর সনাকের সভাপতি খান মো. শহীদ ও সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শাহানা শৈলী আওয়ামী পন্থী সুশীল হিসেবে পরিচিত। সহসভাপতি আমির হোসেন ও সদস্য শাহানা নাসরিন রুবি, ডা. রেজাউল আমিন, এম আর মুর্তজা, সিরাজুল হক মৃধা, মমতাজ হক রাজনীতি নিরপেক্ষ। এছাড়া সদস্য হেদায়েত হোসেন হাওলাদার, রাজন মাহমুদ, এয়াকুব শিশির ও এনায়েত হোসেন নান্নু আওয়ামী লীগ সমর্থক।
ফরিদপুর : ফরিদপুর সনাকের আহ্বায়ক মো. মুজিবুর রহমান দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া অন্য সদস্য অধ্যাপক আলতাফ হোসেন, মুন্সী হারুন-অর-রশীদ, অধ্যক্ষ আ ন ম আবদুস সোবহান, মো. আলী রুমি, রমেন্দ্র নাথ রায়, খাদিজা বেগম মনি ও হাসন উজ্জামান দলনিরপেক্ষ এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট বলে জানা গেছে।
রাজবাড়ী : সনাকের রাজবাড়ী জেলা কমিটির সভাপতি খন্দকার তাহিরা হাসান মোটামুটি দলনিরপেক্ষ বলে জানা গেছে। সহসভাপতি সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান সিপিবির সমর্থক। অন্য সহসভাপতি সুফিয়া খান রেখা আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেত্রী। প্রফেসর শংকর চন্দ্র সিনহা ও সুনীল কুমার বিশ্বাস উদীচী শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য নূরুল হক আলম, নাজমা সুলতানা, খোমন মাহমুদ, হিমাংশু কুমার সাহা, মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মেজবাহ উল করিম রিন্টু ও মুহা. নাসিম হায়দার কল্লোলের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : সনাকের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম রেজা ওয়ার্কার্স পার্টির সমর্থক। সহসভাপতি সেলিনা বেগম দলনিরপেক্ষ। সদস্য গোলাম রশিদ, গোলাম ফারুক মিথুন, গৌরী চন্দ্র সিতু, ফাইজুর রহমান মানি ও ড. দিপালী রানী দাস আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য ডা. নুর-ই-আক্তার জোবেদা, অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী, উম্মে সালমা হ্যাপি, মোজাম্মেল হক, রায়হানুল হক লুনা ও এলিজা বেগম দলনিরপেক্ষ বলে জানা গেছে। সদস্য নসম মাহবুবুর রহমান মিন্টু আগে জামায়াতে ইসলামীতে জড়িত ছিলেন।
নাটোর : জেলা সনাকের সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন দলনিরপেক্ষ। সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু হাসান টগর নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সদস্য হামিদা বানু নির্দলীয় ও ডা. এ ওয়াই খানের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। এছাড়া সদস্য রনেন রায়, অ্যাডভোকেট মো. রশিদউজ্জামান সাদী, রেজাউল করিম রেজা, পরিতোষ অধিকারী, সুমন চ্যাটার্জি, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মো. রফিকুল ইসলাম নান্টু আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে জানা গেছে।
রাজশাহী : রাজশাহী সনাকের সভাপতি প্রফেসর চৌধুরী সরওয়ার জাহান সজল আওয়ামীপন্থী শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলুদ প্যানেলে ডিন নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি আকতারুল হাসান মিল্লাত ও মনিরা রহমান মিথি আওয়ামী লীগ সমর্থক।
সদস্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও প্রসিকিউটর হওয়ার আগ পর্যন্ত ন্যাপের (মোজাফ–র) নেতা ছিলেন। অপর সদস্য মোশারফ হোসেন আখুঞ্জি, সনাকের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সদস্য প্রফেসর আবদুস সালাম আওয়ামীপন্থী ও আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী ব্যক্তি। এছাড়াও সনাকের সদস্য ডা. রুস্তম উদ্দিন আহমেদ, আর্কিটেক্ট রাজিউদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী কামার উল্লাহ সরকার, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ সরেন, কল্পনা রায় ভৌমিক, অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ ও শাহরিয়ার আহমেদ বিল্টু সনাক রাজশাহীর কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। এরা সবাই আওয়ামী ঘরনার বামপন্থী হিসেবে পরিচিত।
রাজশাহীতে সনাকের চার সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ রয়েছে। এর প্রধান প্রফেসর হাসান আজিজুল হক। বর্তমান সরকারের সময় তাকে বঙ্গবন্ধু প্রফেসর পদকে ভূষিত করা হয়েছে। উপদেষ্টা কমিটির সদস্য প্রফেসর সনাত্ কুমার সাহা বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমান সরকার তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগ দিয়েছে। এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মো. আবুল হোসাইন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আলম আওয়ামীপন্থী ব্যক্তি হিসেবে সর্বমহলে পরিচিত।
গাইবান্ধা : গাইবান্ধা সনাকের সভাপতি মাজহার-উল মান্নান জাসদ সমর্থক। সহ-সভাপাতি জহুরুল কাইয়ুম ও আমাতুর নূর সিপিবি নেতা। সদস্য গোবিন্দ লাল দাশ জাসদ সমর্থক। সদস্য প্রবীর চক্রবর্তী জেলা বাসদ নেতা ও শিরিন আক্তার আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য এএফএম তৌহিদুল ইসলাম, ফিরোজা বেগম, মশিয়ার রহমান খান, অ্যাডভোকেট আনিস মোস্তফা তোতন ও অশোক সাহা দলনিরপেক্ষ বলে জানা গেছে।
বগুড়া : সনাকের বগুড়া জেলার আহ্বায়ক মীর ইকবাল হোসেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক বজলুল করিম বাহার বামপন্থী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সদস্য রবিন মারাণ্ডী, আমজাদ হোসেন তাজমা, নূরুল আলম টুটুল, নূরুল ইসলাম সেলিম, রেজাউল করিম বেঙ্গু ও বদরুন্নেছা বেগমের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। তবে তারা বামপন্থী রাজনীতির সমর্থক বলে জানা গেছে। এছাড়া সাংবাদিক সমুদ্র হক ও মিলন রহমান আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সদস্য ডা. শামির হোসেন মিশু স্বাচিপ নেতা, নিভা রানী সরকার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নাট্যকর্মী ও বাম রাজনীতির সমর্থক এবং মাসুদার রহমান হেলাল ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা।
রংপুর : সনাক রংপুরের সভাপতি ময়ল কিশোর ভট্টাচার্য্য সিপিবি সমর্থক। সহ-সভাপতি নারী নেত্রী মারহামাতুন্নেছা ও সিদ্দিকুর রহমানের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। সদস্য মোহাম্মদ আফজাল গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি, সদস্য মো. কুদ্দস আলী বিএনপি সমর্থক, সদরুল আলম দুলু, অ্যাডভোকেট আইনুন নাহার পাপড়ি ও রফিকুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগ সমর্থক, রেজাউল করিম, ডা. শ্বাশত ভট্টাচার্য্য ও অ্যাডভোকেট বিনয় ভূষণ রায় কমিউনিস্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী, ডা. মফিজুল ইসলাম নান্টু রাজনৈতিকভাবে ন্যাপ সমর্থক। অপর সদস্য সমসাদ বেগম গিনি, মোশফেকা রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর আলম মোটামুটি নিরপেক্ষ বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম : সনাক কুড়িগ্রামের আহ্বায়ক মো. শাহাবুদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থক। যুগ্ম আহ্বায়ক মিসেস লাইলী বেগম পেশায় সাংবাদিক এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক। অপর যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ আলী বাসদের সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে অ্যাডভোটে এনামুল হক চৌধুরী গণফোরাম সমর্থক। সদস্য রবীন্দ্রনাথ রায়, আবদুল খালেক ফারুক ও আহসান হাবিব নীলু আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। সদস্য একেএম শামীউল হক, অ্যাডভোকেট কেএস আলী আহমদ, মিসেস রওশন আরা রাজনীতি নিরপেক্ষ ও মওদুদ হোসেন রাবু এবং জুলকার নাইন স্বপনের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। এছাড়া সদস্য তপন কুমার গুপ্ত ও নন্দীরায় চক্রবর্তী সিপিবি সমর্থক।
লালমনিরহাট : সনাকের লালমনিরহাট কমিটির সভাপতি স্বপ্না জামান ও সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়াসমিন আরা রীনা এবং সুপেন্দ্রনাথ দত্ত আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক বীর প্রতীক জাসদ সমর্থক। সনাকের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কার্যনির্বহী সদস্য অ্যাডভোকেট ময়জুল ইসলাম ময়েজ সিপিবির লালমনিরহাট জেলা শাখার সহ-সভাপতি। সদস্য অধ্যাপক মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম খান স্বপন, সাধনা রায়, ডা. মো. কাশেম আলী আওয়ামী লীগ সমর্থক। অপর সদস্য মো. আবু জাফর জাতীয় পার্টির সমর্থক ও ডা. আশিক ইকবাল মিলন সিপিবির সঙ্গে জড়িত।
দিনাজপুর : দিনাজপুর সনাকের দিনাজপুর জেলার আহ্বায়ক শফিকুল হক ছুটু আগে জাতীয় পার্টি সমর্থন করলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ সমর্থক। যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর একেএম বদরুজ্জামান চৌধুরী রাজনীতি নিরপেক্ষ ও অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল জলিল আহমেদ আওয়ামী লীগপন্থী। সদস্যদের মধ্যে অধ্যক্ষ হাবিবুল ইসলাম, ডা. ইলিয়াস আলী খান ও তারিকুজ্জামান তারেক বাম রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। আজাহী হাই জাসদের সমর্থক। জাকিউল ইসলাম রাজনীতি নিরপেক্ষ। এছাড়া চিত্ত ঘোষ, মাহমুদা জাহান হোসেন, অ্যাডভোকেট নিলুফার রহিম ও ডা. জেসমিন আরা ইসলাম আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য তোজাম্মেল হক ও মোজাফফর আলী মিলনের রাজনৈতিক মতাদর্শ অস্পষ্ট।
নীলফামারী : সনাকের নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নরেশ চন্দ্র,সহ-সভাপতি রোখসানা আঞ্জুম লীজা ও তাহমিন হক ববি আওয়ামী লীগের সমর্থক। সদস্যদের মধ্যেও আওয়ামী লীগের প্রাধান্য। সদস্য অধ্যাপক গৌরাঙ্গ চন্দ্র সরকার, ডা. মজিবুল হাসান চৌধুরী শাহীন, ডা. হাসান হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম সরকার, ভুবন রায় নিখিল, মো. নুরন্নবী, মো. আবদুল মান্নান ও মিজানুর রহমান লিটু আওয়ামী লীগের সমর্থক। এর বাইরে আজমা আহসান ও নাসিমা বেগম রাজনীতি নিরক্ষে এবং তাসমীম ফৌজিয়া ওপেল বিএনপি সমর্থক বলে জানা গেছে।
পটিয়া (চট্টগ্রাম) : সনাকের পটিয়া ১১ সদস্যের কমিটির রয়েছে। কমিটির সভাপতি অ্যাভোকেট কবি শেখরনাথ পিণ্টু, সহ-সভাপতি এসএমএকে জাহাঙ্গীর, সদস্য নিত্যময় চৌধুরী, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, শীলা দাশ ও ভগিরথ দাশ আ.লীগ রাজনীতির সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সদস্য ডা. হাসান শহীদুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক এবং রাশিদুল হক মিজান বামপন্থী মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। সদস্য নাজমুন নাহার ও মেহেরুন্নেছা একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দ্বিতীয়জন সহকারী শিক্ষক। রাজনৈতিকভাবে তারা মোটামুটি নিরপেক্ষ বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। সনাকের সভাপতি বিগত পৌরসভা নির্বাচনে সরাসরি আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম মহানগরী সনাকের প্রায় পুরোটাই বামপন্থী ও সিপিবি লোকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার কবির চৌধুরী বাসদের রাজনীতির সমর্থক। সহ-সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনে সিপিবি সমর্থক। সদস্য জেসমিন সুলতানা পারু আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য এএফএম সিরাজ, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন ও আবদুল মমিন সিপিবি সমর্থক। সদস্য শ্যামলী মজুমদার ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বাম রাজনীতির সমর্থক ও সদস্য মুশতারী শপি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতা। সদস্য ফেরদৌস আরা আলীম ও ডা. ওয়াহিদুল আলম নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত।
চকরিয়া : টিআইবি-সনাকের চকরিয়ার সভাপতি আলহাজ জহিরুল ইসলাম ছিদ্দিকী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হলেও তিনি মূলত আওয়ামী লীগ সমর্থক। সহ-সভাপতি নাছিমা আক্তার দল নিরপেক্ষ ও অপর সহ-সভাপতি আলহাজ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী বিএনপি সমর্থক।
সদস্যদের মধ্যে প্রকৌশলী রফিকুল হক রাজনীতি নিরপেক্ষ ও স্থানীয় নেতার ভাই, এজাহার হোছাইন ও মাঈন উদ্দিন হাসান শাহেদ ওয়ার্কার্স পাটির সমর্থক, আনোয়ারুল আজিম চৌধুরী মিনু, সন্তোষ কুমার সুশীল ও রুপম কুমার সুশীল আওয়ামী লীগ সমর্থক। প্রিন্সিপাল এম. সাহাব উদ্দিন বিএনপি সমর্থক। এছাড়া সদস্য নুরজাহান এশরাক, অপর্ণা বাছার ও জাহান আরা বেগম রাজনীতি নিরপেক্ষ হিসেবে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাক সদস্যের ১৩ জনের ১১ জনই আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী। এরা হলেন সনাক সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিকুল বারী, সহ-সভাপতি শামীমা শিকদার দীনা, সদস্য আলী আকবর মজুমদার, অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের, নন্দিতা গুহ, জয়দুল হোসেন, ডা. এফ জামান, আবদুন নূর, ফারহান নূর, অ্যাডভোকেট এম তারিক হোসেন জুয়েল ও ছায়েরা খাতুন।
চাঁদপুর : সনাকের চাঁদপুর জেলা কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী বিএনপি সমর্থক। সহ-সভাপতি কাজী শাহাদাত দল নিরপেক্ষ ও অপর রূপালী চম্পক আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন খান, ডা. এমএ গফুর, ডা. এ কিউ এম রুহুল আমিন, ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, কৃষ্ণা সাহা, আব্বাছ উদ্দিন ও মোশাররফ হোসেন আওয়ামী লীগ সমর্থক। অ্যাডভোকেট শারমিন ছিদ্দিকা, মফিজ উদ্দিন সরকার, প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন ও ফাতেমা ইয়াছমিন বিএনপি সমর্থক। এছাড়া প্রফেসর মনোহর আলী জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে জানা গেছে।
কুমিল্লা : সনাকের কুমিল্লা কমিটির প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ঘরানার। কুমিল্লায় আওয়ালীগ সমর্থিত বা পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সরব দেখা যায়। সনাক-কুমিল্লার বর্তমান সভাপতি আলহাজ শাহ মো. আলমগীর খান, সহ-সভাপতি আলী আকবর মাছুম ও রোকেয়া বেগম শেফালী। আওয়ামী লীগ সমর্থক। কমিটির সদস্য রয়েছেন বদরুল হুদা জেনু, অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরী, জমির উদ্দিন খান জম্পি (আওয়ামী লীগ নেতা), প্রকৌশলী আবুল বাশার, দিলনাশী মোহসেন, অধ্যাপক দীপক ভদ্র, অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূরুর রহমান (এপিপি), মাসুক আলতাফ চৌধুরী, বাকিন রাব্বী। এদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ঘরনার।
রাঙামাটি : সনাক রাঙামাটির আহ্বায়ক নিরূপা দেওয়ান বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে তিনি জেএসএস ও আওয়ামী লীগ সমর্থক। রাঙামাটি সনাকের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুস্মিতা দেওয়ান ও উপজাতীয় সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রশ্নে জেএসএস সমর্থক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সমর্থক। বাঙালি সদস্যরাও আওয়ামী লীগ সমর্থক। কমিটির সদস্য মো. আরিফ, ছত্রং চাকমা, অমেন্দু হাওলাদার, মইন উদ্দিন, অঞ্জালিকা খিসা, প্রফেসর মংচানু চৌধুরী আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সাংবাদিক হরিকিশোর চাকমা, অ্যাডভোকেট মিরির বরুন চাকমা, বাঞ্ছিতা চাকমা, ললিতি চাকমা, চাঁদনী রায় (রাজা দেবাশীষ রায়ের স্ত্রী), অ্যাঞ্জেলিকা দেওয়ান পাবর্ত্য চট্টগ্রাম প্রশ্নে জেএসএস সমর্থক ও রাজনীতির প্রশ্নের আওয়ামী লীগ সমর্থক।
খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি জেলা সনাকের সভাপতি অনন্ত বিহারী খীসা ইউপিডিএফ সমর্থক ও ইউপিডিএফের প্রধান প্রসীত খীসার বাবা। সহ-সভাপতি ধর্মরাজ বড়ুয়া ও লালসা চাকমা আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে ড. সুধীন কুমার চাকমা, প্রফেসর বৌধিসত্ত দেওয়ান, অধ্যাপক মধুমঙ্গল চাকমা, মো. আবুল কাশেম, শেফালিকা ত্রিপুরা, মথুরা ত্রিপুরা, অরুণ প্রসাদ ভট্টাচার্য, জহুরুল আলম, হেনরিয়েটা সুখ, অভ্যুদয় চাকমা ও ইদ্র দেবী চাকমা আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সৈকত দেওয়ান ও সুপ্তা চাকমরা ইউপিডিএফ সমর্থক।
লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সনাকের সভাপতি প্রফেসর মাহবুব আলী ও সহসভাপতি বনশ্রী পাল আওয়ামী লীগ সমর্থক। অপর সহ-সভাপতি প্রফেসর এ এন এম আবদুল মান্নান বিএনপি সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে অ্যাডভোকেট তারেক উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী. ডা. মো. সালাহ উদ্দিন শরিফ, গাজী গিয়াস উদ্দিন, পিংকু রঞ্জন মল্লিক, শংকর মজুমদার, পারভীন হালিম ও বানু বাগ আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য মাহফুজ রহমান ও জান্নাতুল তাজেরনি রাজনীতি।
সিলেট : সিলেট সনাকের সভাপতি ফারুক মাহমুদ বাম রাজনীতির সমর্থক। সহ-সভাপতি ফাহমিদা নাহাস (রশীদ) চৌধুরী (সাবেক স্পিকারের ভাতিজি) ও প্রফেসর আবদুুল আজিজ বামপন্থী হিসেবে পরিচিত। সদস্য এম মুহিবুর রহমান, ইয়াসমীন হক (ড. জাফর ইকবালের স্ত্রী), রফিকুল বর, সৈয়দ মনির হেলাল, সৈয়দা শিরিন আক্তার, ড. সুশান্ত কুমার, রীনা দেবী, উজ্জ্বল মেহেদী ও খুশি চৌধুরী বাম রাজনীতির সমর্থক। সদস্যের মধ্যে ড. তুলশী কুমার দাশ ও আজিজ আহমদ সেলিম আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য সমির জাফর, জাহেদা শারমীন স্বাতী. লক্ষ্মীকান্ত সিংহ, ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, খন্দকার মাহমুদুর রহমানের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট।
সুনামগঞ্জ : সনাক সুনামগঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক পরিমল কান্তি দে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্তা না থাকলেও আওয়ামী লীগের সমর্থক। সহ-সভাপতি রুনা শাহিন আরা লেইছ পারিবারিকভাবে জাতীয় পার্টির সমর্থক ও অপর সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। সদস্য নুরুর রব চৌধুরী পারিবারিকভাবে জাপা সমর্থক। ধূর্জুটি কুমার বসু, সঞ্চিতা চৌধুরী, নির্মল ভট্টাচার্য, নাজনিন বেগম ও খলিল রহমান আওয়ামী লীগের সমর্থক। অপর সদস্য মতিউর রহমান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। এছাড়া সদস্য মো. গোলাম কিবরিয়া, নজরুল ইসলাম ও মালেকা খাতুন দলনিরপেক্ষ এবং এনামুল হক চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক বলে জানা গেছে।
শ্রীমঙ্গল : সনাকের শ্রীমঙ্গল শাখার সভাপতি সৈয়দ নাসের আহমেদ নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তবে কমিটির সহ-সভাপতি গীতা গোস্বামী আওয়ামী লীগ সমর্থিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেত্রী। সদস্যদের মধ্যে সৈয়দ মুজিবুর রহমান ন্যাপ মোজাফফর সমর্থক। সদস্য মো. আবদুন নূর, জাহান ই নূর সুলতানা নীনা, আবু সুলতান মাহমুদ ইদ্রিস নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত। সদস্য নীহারেন্দু কর, অয়ন চৌধুরী, জহর তরফদার, জলি পাল, কৃষ্ণা সূত্রধর, দীপেন্দ্র ভট্টচার্য আওযামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য আলাউদ্দিন আহমদ ও দিদার আহমদ শাহীনের পরিচয় অস্পষ্ট। সদস্য গাডিসন প্রধান চৌচিং সিপিবি সমর্থক।
বরিশাল : বরিশাল সনাকের সভাপতি প্রফেসর এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও সদস্য আসমা চৌধুরী বিএনপি সমর্থক বরে জানা গেছে। সহসভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা ও সাংবাদিক সাইফুর রহমান মিরন আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সদস্যদের মধ্যে সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল, নারী নেত্রী নূর জাহান বেগম, অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফরিদা শাহ চৌধুরী, হেনরী স্বপন, টুনু রানী কর্মকার, শুভঙ্কর চক্রবর্তী ও কাজী সেলিনা বেগম বাম রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের সমর্থক হিসেবে মনে করেন বারিশালের মানুষ।
পিরোজপুর : পিরোজপুর জেলা সনাকের সভাপতি হোসনেয়ারা বেগম সদস্য মোহসেনাতুন্নেসা, খায়জুরান দিরোজ, আবু বাশার আকন, শেখ শাহ আলের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। এছাড়া সহসভাপতি আতা-ই-রব্বানী ফিরোজ, রমা রানী সাহা, সদস্য অ্যাডভোকেট শহীদুল্লাহ খান ও অ্যাডভোকেট হুমায়ন কবির খান আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য অ্যাডভোকেট এম এ মান্নান সিপিবির সাবেক নেতা। সদস্য মাইনুল আহসান মুন্না যুবলের সাবেক নেতা ও খায়রুন্নাহার রুবী মহিলা দলের নেত্রী ছিলেন।
ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলা সনাক সভাপতি প্রফেসর লাল মিয়া, সদস্য প্রফেসর মো. রুস্তম আলী, আবদুল লতিফ লক্ষ্মী, কামরুন্নেসা আজাদ, হোসনে আরা হেলেন, ছালেক আজা খান সোহাগ, রাবেয়া কবির, গুলনাহার বেগম ও এবিএম শামসুল আলম বেলাল মোটামুটি নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। জেলার সহ-সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন হিমু, শাহানা আলম, হেমায়েত হোসেন, আবদুস সালাম, গৌতম বণিক আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে জানা গেছে। এছাড়া সদস্য হাবিবুর রহমান তালুকদার ও গৌতম সরকার বাবু বিএনপি সমর্থক।
বরগুনা : বরগুনা জেলা সনাক সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। সহ-সভাপতি হামিদা বেগম আওয়ামী লীগ সমর্থক ও অপর সহ-সভাপতি মনির হোসেন কামাল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক। এছাড়া সদস্য রাজিয়া বেগম, ডা. ধীরেন্দ্রনাথ সরদার, আলহাজ আবদুর রব ফকির, বেবি দাস, হোসনেয়ারা লাভলি, অ্যাডভোকেট সেলিনা আখতার (আ.লীগ নেত্রী) ও বাবুল সাহা (বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বরগুনার সাধারণ সম্পাদক) আওয়ামী লীগ সমর্থক। অপর সদস্য সুখরঞ্জন শীল জেলা ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক ও অ্যাডভোকেট মুনিরুজ্জামান মুনির জেলা যুব ইউনিয়ন সভাপতি।
পটুয়াখালী : পটুয়াখালী জেলা সনাক সভাপতি প্রফেসর নূরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জাহানারা হারুন, মো. আবদুর রব আকন, সদস্য শামসুন্নাহার, শিপ্রা দেউড়ী ও অ্যাডভোকেট জিনাত জেবিন নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। সদস্যদের মধ্যে নার্গিস আরা হক, স্বপন ব্যানার্জী, মো. শফিকুর রহমান, দিপালী রানী রায় ও রাশিদা বেগম আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য আবুল বাশার সেরনিয়াবাতের পরিচয় অস্পষ্ট।
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া জেলা সনাকের ১৩ জনের কমিটির পুরোটাই আওয়ামী লীগের পকেটে। এদের কেউ কেউ নিজেদের সুশীল হিসেবে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে সবাই আওয়ামী রাজনীতির সমর্থক হিসেবে জানা গেছে। কমিটির সভাপতি ডা. আবু দাউদ এবং সেলিনা পারভীন ও অ্যাডভোকেট অনুব কুমার নন্দী সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সদস্য হিসেবে রয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম টুকু, খলিলুর রহমান মজু, নজরুল ইসলাম, আসমা আনিছ মিরু, অশোক সাহা, তারিকুল ইসলাম তারিক, ডা. সারোয়ার মোর্শেদ রতন, জহুরুল হক রঞ্জু, অজয় সুরেখা ও নীলিমা রহমান।
ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ সনাক সভাপতি মিসেস শরিফাতুন্নেসা ৬ মাস আগে আ.লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। মো. আবু তাহের ও আসমা জামান আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্যদের মধ্যে এনএম শাহজালাল, আসাদুজ্জামান খান, কাজী আখতারুল ইসলাম ও মহব্বত হোসেন টিপু বিএনপি সমর্থক। মনোয়ারা খাতুন, খন্দকার আবু সাইদ, নাদিরা আক্তার, সাইফুল ইসলাম মধু, মাহমুদা রহমান খুশি, অ্যাডভোকেট এলাহী বখশ ও সুরাইয়া পারভিন মলি আওয়ামী লীগ সমর্থক। এছাড়া সদস্য সায়েদুল আলম জাতীয় পার্টির সমর্থক।
যশোর : সনাক যশোর জেলা সভাপতি আবু সাহেল তোতা আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং সদর আসনের এমপি খালেদুর রহমান টিটোর ঘনিষ্ঠজন। সহ-সভাপতি মো. সাইফুজ্জামান মজু বিএনপি সমর্থক এবং অপর সহ-সভাপতি সৈয়দা মাসুমা বেগমের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। সদস্যদের মধ্যে ড. মুস্তাফিজুর রহমান, শেখ গোলাম ফারুক, আমির হোসেন, মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী ও মাসুদুল আলমের রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। এছাড়া সদস্য এমআর খায়রুল ইমাম, সুকুমার দাস, মবিনুল ইসলাম মুবিন ও হাবিবা শেফা আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য সুরাইয়া শরিফ সিপিবি সমর্থক। পাভেল চৌধুরী ও প্রশান্ত দেবনাথ বাম রাজনীতির সমর্থক। এছাড়া সাংবাদিক এসএম তৌহিদুর রহমান ওয়ার্কার্স পার্টির সমর্থক ও আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক।
বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলা সনাক সভাপতি চৌধুরী আবদুর রব, সদস্য মদিনা হাসান, অধ্যাপক এবিএম মোশাররফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট নওরোজ মুহিদ নিরপেক্ষ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এছাড়া সহ-সভাপতি মো. সাইফ উদ্দিন, মিসেস ফরিদা রহমান, শিল্পী সমাদ্দার, শেখ দেলোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট রামকৃষ্ণ বসু, অ্যাডভোকেট শাহ আলম টুকু, বাবুল সরদার, শামিম হাসান, তহুরা হোসেন ও খন্দকার আসিফ উদ্দিন আওয়ামী লীগ সমর্থক। সদস্য অ্যাডভোকেট এসএম জাহাঙ্গীর জেলা বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সদস্য সাইফুল্লাহ নিরপেক্ষ। বাগেরহাট টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার মো. আনিসুজ্জামান সনাকের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। সনাক সদস্য মোরশেদুর রহমান সাগর, শামিম হাসান ও জাকির হোসেন বাম রাজনীতির সমর্থক।
খুলনা : সনাক খুলনার সভাপতি অধ্যক্ষ জাফর ইমাম সরকারি বিএল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত। সহ-সভাপতি বেগম ফেরদৌসী আলীর রাজনৈতিক পরিচয় অস্পষ্ট। তিনি যখন যে সরকার, তার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখেন। অপর সহ-সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদিরের নিরপেক্ষ ইমেজ রয়েছে। সনাকের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমান সদস্য হাফিজুর রহমান বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। সদস্য শেখ আবদুল কাইয়ুম, সৈয়দ মনোয়ার আলী, শেখ আবু হাসান, এ কে হিরু ও রমা রহমান আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ড. দিলীপ দত্ত, অধ্যাপক অচিন্ত্য ভৌমিক, অ্যাডভোকেট অশোক কুমার সাহা, নাসরিন হায়দার ও এম আবদুল কাইয়ুমের রাজনীতিনিরপেক্ষ হিসেবে খুলনায় পরিচিতি রয়েছে। সদস্য রোজী রহমান, শামিমা সুলতানা শিলু বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
সাতক্ষীরা : টিআইবির সাতক্ষীরা আহ্বায়ক ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। ওই কমিটির মেয়াদ শেষে নতুন কোনো কমিটি করা হয়নি বলে আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads